Type Here to Get Search Results !

পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভার সরপি গ্রামের ইকো পার্ক নজর কেড়েছে খনি অঞ্চলের বাসিন্দাদের



সোমনাথ মুখার্জি পাণ্ডবেশ্বর :- কয়েক বছর আগে রাজ্য সরকারের পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়ন পর্ষদের তত্ত্বাবধানে তৈরি হয় পাণ্ডবেশ্বর  বিধানসভার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সরপি গ্রামে ইকোপার্ক।এই ইকোপার্ক ঘিরে খনি অঞ্চলের মানুষের স্বপ্ন অনেক।কেননা খনি অঞ্চলের মানুষদের কাছে পার্ক বলতে ছিল দুর্গাপুরের পার্কগুলি।


সেখানে হয়তো খনি অঞ্চলের সব শ্রেণীর মানুষ পৌঁছাতে পারত না।খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বরের খেটেখাওয়া মানুষের ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা পার্কের বিনোদন থেকে ছিল বঞ্চিত। দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের সরকারি উদ্যোগে তৈরি হয় এই ইকো পার্কটি।স্বপ্ন পূরণ হয় খনি অঞ্চলের মানুষের একাংশের।


তবে বিগত দুই বছর কোরোনা অতি মারির কারণে রাজ্যের সমস্ত পার্ক ও বিনোদনের জায়গাগুলো ছিল বন্ধ। দীর্ঘ লকডাউনের কারণে দুর্গাপুর শহরের মতো বড় বড় পার্কগুলিও আজ জঙ্গলাকীর্ণ। কিন্তু খনি অঞ্চল পাণ্ডবেশ্বরের এই সরপি গ্রামের ইকো পার্কটি দীর্ঘ লকডাউনেও তাঁর সৌন্দর্যতা একটুও হারায়নি। কারণ এই পার্কটির তদারকিতে যাঁরা রয়েছেন এর পিছনে রয়েছে তাদের অক্লান্ত পরিশ্রম। আজ ধীরে ধীরে লক ডাউন হেটেছে, খুলেছে বিনোদনের জায়গাগুলি, খুলেছে পার্ক গুলিও।


প্রায় কয়েক একর জায়গা নিয়ে লক্ষাধিক টাকা ব্যয় করে তৈরি হয় এই পার্ক। যদিও বর্তমানে পার্কের উন্নয়নের কাজ চলছে। নানান ভাবে সাজিয়ে তোলা হচ্ছে পার্কটিকে। সুন্দর প্রাকৃতিক গ্রাম্য পরিবেশে রয়েছে বসবার জায়গা।রয়েছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের বিনোদনের বিভিন্ন ধরনের খেলার জিনিস। সেচ দপ্তরের উদ্যোগে পার্কের মধ্যে খনন করা হয়েছে দুটি পুকুর। যার চারপাশ সুন্দর  ফুল গাছ দিয়ে ঘেরা। 


এই পার্ক  সম্পর্কে পান্ডবেশ্বর বিধানসভার বিধায়ক নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী জানান,শুধু সরপি নয় সম্পূর্ণ পাণ্ডবেশ্বর বিধানসভাকে সুন্দরভাবে সাজানো হবে।যার কাজ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে।ছবির এই ইকোপার্কটিতে করা হবে কটেজ যাতে করে বাইরে থেকে অতিথিরা একটু নির্জনে সময় কাটাতে এলে তাদের যেন সমস্যা না হয়। 


পার্ক প্রসঙ্গে দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লক সভাপতি সুজিত মুখার্জি জানান ,এই পার্কের এখনও অনেক কাজ বাকি আছে যেগুলো খুব শীঘ্রই সম্পূর্ণ করা হবে। সুজিত বাবু বলেন,বর্তমানে এই পার্কে একটি গেস্টহাউস রয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ছয়টি রুমের ব্যবস্থা ,যেখানে বাইরে থেকে এই ইকো পার্কে আসা অতিথিরা ভালোভাবে থাকতে পারেন তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।ব্যবস্থা রয়েছে পানীয় জলেরও।এছাড়াও সুজিতবাবু বলেন তাঁদের আগামী দিনে পরিকল্পনা রয়েছে পার্কের গেস্ট হাউসটির দোতলা করা, যাতে করে  অনেক সংখ্যক লোক একসাথে পার্কে এসে আনন্দ করতে পারেন। 


যদিও পার্কের গেস্ট হাউস ব্যবহার করতে গেলে অতিথিদের অবশ্যই একটা সামান্য অঙ্কের অর্থ ব্যয় করতে হবে।খুব শীঘ্রই শুরু হয়ে যাবে পিকনিক সিজন,তাই পিকনিক সিজনের আগেই পার্কটিকে সুন্দর রূপ দেওয়ার চূড়ান্ত চেষ্টা চলছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad