Type Here to Get Search Results !

বর্ধমানে স্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানোকে কেন্দ্র করে প্রকাশ্যে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব


নিজস্ব প্রতিনিধি:- স্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল বসানোকে কেন্দ্র করে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব।গোষ্ঠীদ্বন্দে আহত হয় চারজন তৃণমূল কর্মী বলে অভিযোগ। টলিউডের নায়িকা শুভ্রশ্রীর বাবা পাশাপাশি  বিধায়ক তথা প্র‍যোজক রাজ চক্রবর্তীর শ্বশুর দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলিকে হেনস্থার অভিযোগ ওঠে বর্ধমান পৌরসভার চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলার মহম্মদ আলি ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে। দেবপ্রসাদবাবু নিজেকে চার নম্বর ওয়ার্ড তৃণমূল কংগ্রেসের কনভেনার বলে দাবি করেছেন।

ঘটনার সূত্রপাত সোমবার সকালে। দেবপ্রসাদ গাঙ্গুলির শ্যালিকা অনাবাসী ভারতীয়  অনিতা গাটকারি স্থানীয় দুটি স্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল দেবার জন্য মনস্থির করেন। সেইমত দেবপ্রসাদ বাবু বর্ধমান শহরের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের  বর্ধমান দুবরাজদীঘি হাইস্কুল ও ছয় নম্বর ওয়ার্ডের রেলওয়ে বিদ্যাপীঠ স্কুলে যোগাযোগ করেন। 

দেবপ্রসাদবাবুর দাবি স্কুলের প্রধান শিক্ষকের অনুমতি নিয়েই তার শ্যালিকা ও কয়েকজনকে  সঙ্গে নিয়ে সোমবার সকালে দুবরাজদীঘি হাইস্কুলে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে যান। অভিযোগ, সেই সময় চার নম্বর ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর মহম্মদ আলি ও তার ভাইপো তৃণমূল কংগ্রেসের যুবনেতা নুরুল আলম তাদের স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে বাধা দেয়। 

ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি না নিয়ে কারো ব্যক্তিগত নামে স্যানিটাইজার ট্যানেল স্কুলে লাগানো যাবে না বলে আপত্তি জানায় তারা। এই বাগবিতণ্ডার মধ্যেই মহম্মদ আলি ও নুরুল আলমের নেতৃত্বে একদল তৃণমূল কর্মী তাদের উপর চড়াও হয় বলে অভিযোগ। 

লাঠি ও রড নিয়ে তাদের উপর আক্রমণ চালানো হয় বলে অভিযোগ। এই আক্রমণের মুখে পরে দেবপ্রসাদ বাবুর সঙ্গে থাকা সেখ হায়দার আলি, সেখ খোকন, শশীরাম ও গোবিন্দা মাল নামে চার তৃণমূল কর্মী আহত হয়। স্যানিটাইজার ট্যানেলটিও ক্ষতিগ্রস্ত করা হয় বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে দেবপ্রসাদবাবু দলের উর্ধতন কর্তৃপক্ষর কাছে অভিযোগ জানিয়েছেন। 

তাদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ অস্বীকার করে নুরুল আলম জানান, উনি কোন অনুমতি ছাড়া ব্যক্তিগত একজনের নামে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগাতে এসেছিলেন। কোনো সরকারি স্কুলে কাজ করাতে গেলে ম্যানেজিং কমিটির অনুমতি নেওয়ার প্রয়োজন হয়। 

উনি তা না করে গায়ের জোরে এলাকায় নিজের কতৃত্ব তুলে ধরতে এই কাজ করতে এসেছিলেন। তাই তাকে বাধা দেওয়া হয়েছে। ম্যানেজিং কমিটিতে আলোচনা হবার পর স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগানোর ব্যাপারে সিধান্ত নেওয়া হবে। নিজেকে এই স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সদস্য বলেও দাবি করেন নুরুল আলম।

আরো পড়ুন:- মৃত বিজেপি সমর্থকের মৃত্যুর তদন্তে বর্ধমানে এলো CBI এর বিশেষ দল

যদিও এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নবকুমার মালিক জানিয়েছেন, দেবপ্রসাদ বাবু আমার কাছে স্যানিটাইজার ট্যানেল লাগানোর জন্য লিখিত আবেদন করেছিলেন। ছাত্রছাত্রীদের স্বার্থে আমি ওনাকে এটি করতে বলেছিলাম। যেটা ঘটলো সেটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad