সোমনাথ মুখার্জি, অন্ডাল :- বাড়িতে ঢুকেই অস্ত্র দেখিয়ে ছিনতাই এবং মহিলার সাথে শ্লীলতাহানির চেষ্টা। ঘটনাটি ঘটেছে অণ্ডালের রেল কলোনি এলাকায়। অন্ডালের রেল কলোনি এলাকায় বুধবার রাত ৮:৩০ মিনিট নাগাদ ,মুখোশধারী এক দুষ্কৃতী অস্ত্র নিয়ে ঢুকে পড়ে এক মহিলার বাড়িতে।বাড়িতে ঢুকেই গলায় অস্ত্র লাগিয়ে ছিনিয়ে নেওয়া হয় সোনার হার আংটি এবং সোনার শাখা বাঁধানো।
এরপর ওই মহিলার সাথে দুষ্কৃতী শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ । সুপর্ণা মিস্ত্রি নামে রেলের ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের কর্মরতা এক মহিলা একাই রেলের আবাসনে থাকতেন রেল কলোনি এলাকায়।তিনি জানান দীর্ঘ আট বছর তিনি অন্ডাল এলাকায় আছেন বিগত তিন বছর তিনি রেল কলোনি এলাকায় এই আবাসনে একাই থাকতেন।
তবে এ রকম অভিজ্ঞতা বিগত দিনে তার হয়নি বলে জানান তিনি। সুপর্ণাদেবী জানান তিনি তার ব্যক্তিগত কাজে আসানসোল থেকে সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টা নাগাদ তাঁর বাড়িতে আসেন। বাড়িতে এসে নিজের কিছু কাজ সেরে নেওয়ার পর তিনি মোবাইল নিয়ে নিজের কাজ করছিলেন।
তিনি জানান হঠাৎ করে তাঁর বাড়ির ঠাকুর ঘরের লাইট বন্ধ হয়ে যায় এ বিষয়ে তিনি অতটা গুরুত্ব দেননি তারপর হঠাৎ বারান্দার লাইট বন্ধ হয়ে গেলে তিনি দেখেন অন্ধকারে কেউ মুখোশ পরে হামাগুঁড়ি দিয়ে তাঁর ঘরের ভেতরে ঢুকে পড়েছে। কোনো কিছু ভাববার আগেই ওই দুষ্কৃতী ছুরি নিয়ে তাঁর গলায় লাগিয়ে দেয়। এবং ঘরের আলমারি খুলতে বাধ্য করায়।
যদিও কর্মসূত্রে তিনি এখানে থাকতেন তাই বাড়িতে সেরকম কোনও দামি জিনিসপত্র ছিল না। থাকার মধ্যে তাঁর গলায় ছিল সোনার একটা চেন এবং একটা আংটি ও শাখা বাঁধা সেগুলি ওই দুষ্কৃতী ছিনিয়ে নেয়।
সুপর্ণাদেবী বলেন দুষ্কৃতী গলায় অস্ত্র লাগিয়ে ভয় দেখিয়ে তাঁকে চিৎকার করতে বারণ করে। সোনার যে কয়েকটা জিনিসপত্র ছিল সেগুলো নিয়ে নেওয়ার পর দুষ্কৃতী সুপর্ণা দেবীর সাথে শারীরিক নিগ্রহের চেষ্টা করে এতে সুপর্ণাদেবী জামাকাপড় ছিঁড়ে যায়। ছুরির আঘাতে আঘাতপ্রাপ্ত হয় তার দুই হাত। রীতিমতো দুষ্কৃতীর সাথে ধস্তাধস্তি করে বাইরের উঠোনে এসে চিৎকার করতেই পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতী।
এই ঘটনায় স্বাভাবিকভাবেই আতঙ্কিত হয়ে পড়েন একলা থাকা এই মহিলা। ঘটনাস্থলে আসে অন্ডাল থানার পুলিশ।তবে রেল আবাসনে আবাসিকদের নিরাপত্তার অভাব রয়েছে এই ঘটনা তারই প্রমাণ রাখল।
রেলে কর্মরতা সুপর্ণা মিস্ত্রি জানান এ বিষয়ে লিখিত আকারে তিনি জিআরপি এবং অন্ডাল পুলিশের কাছে অভিযোগ করবেন।কীভাবে ভরসন্ধ্যায় দুষ্কৃতীরা এ রকম সাহস পাই এইটা নিয়েই ভাবাচ্ছে রেল কলোনি এলাকায় বসবাসকারী মানুষদের। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ।