নিজস্ব প্রতিনিধি:- পাত্রী করোনা পজিটিভ,খবর পেয়ে বিয়ে রুখল প্রশাসন।পূর্ব বর্ধমানের ভাতারের বড়বেলুন গ্রামের ঘটনা।শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়ে আসেন ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক সংঘমিত্রা ভৌমিক।সঙ্গে ছিল ভাতার থানার পুলিশ।
যদিও পাত্রীর দাবি তার করোনা নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।ঘটনা ঘিরে শুক্রবার সন্ধ্যায় চাঞ্চল্য ছড়ায় গোটা এলাকায়।বড়বেলুন গ্রামের বছর ছাব্বিশের ওই তরুণীর আগামী রবিবার বিয়ের দিন ছিল।বিয়ের অনুষ্ঠানের জন্য যাবতীয় আয়োজন হয়ে যায়।
বিয়ের প্যাণ্ডেল তৈরি থেকে বাজারহাট প্রায় সম্পূর্ণ।তরুণী গত মঙ্গলবার দাঁতের স্কেলিং করতে বর্ধমানে ডেন্টাল হাসপাতালে গিয়েছিলেন।সেখানে তার করোনা পরীক্ষা করালে পজিটিভ রিপোর্ট আসে।স্বাস্থ্য দফতর নিয়মমাফিক সেই রিপোর্ট ভাতারের ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ও ব্লক প্রশাসনের কাছে পাঠিয়ে দেয়।
শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রশাসনের প্রতিনিধিরা গিয়ে বিয়ে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।যদিও তরুণী দাবী করেন আমার কোনও উপসর্গ ছিল না।পজিটিভ রিপোর্ট আসার পর সন্দেহ হলে ফের আমি করোনা পরীক্ষা করাই।বৃহস্পতিবার আমার নেগেটিভ রিপোর্ট এসেছে।
তাহলে কোনটা ঠিক? যদিও ভাতারের বিডিও অরুন কুমার বিশ্বাস বলেন ওই তরুণীর দুটি রিপোর্ট সম্পর্কে উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি।উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের ও স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশ মতোই বিয়ে বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
আপাতত নিয়ম অনুযায়ী তাকে হোম কোয়ারিন্টানে থাকতে হবে।শুক্রবার দুপুরে প্রথমদফায় স্বাস্থ্য দফতরের প্রতিনিধিরা ওই তরুণীর বাড়িতে গিয়ে বিয়ের অনুষ্ঠান করতে নিষেধ করে আসে।কিন্তু তরুণীর পরিবার রাজি হয়নি।
তারপর রাতে বিডিও ও ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ওই বাড়িতে গিয়ে বিয়ে বন্ধের নির্দেশ দিয়ে আসেন।তরুণীর বাবা বলেন আমি প্রশাসনের কাছে অনুরোধ করেছিলাম যাতে বিয়েটা অন্তত হয়।হাট বাজার সব নষ্ট হয়ে যাবে।আমার চরম ক্ষতি হয়ে গেল।পাত্রীর মা বলেন সব্জী বাজার থেকে সব কিছুই কেনা হয়েছে।এখন কি হবে জানি না।