বর্তমানে, সারা বিশ্বে 7 হাজারেরও বেশি বিভিন্ন ক্রিপ্টো কয়েন প্রচলন রয়েছে। এগুলি এক ধরনের ডিজিটাল মুদ্রা, যেখানে ২০১৩ সাল পর্যন্ত বিশ্বে একটি মাত্র ক্রিপ্টোকারেন্সি ছিল, যার নাম বিটকয়েন। এটি 2009 সালে চালু হয়েছিল। অর্থাৎ ২০১৩ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে এই ব্যবসা ৭ হাজার গুন বাড়লেও ভারতে এর ভবিষ্যৎ এখন পুরোপুরি বদলে যেতে চলেছে।
সব ক্রিপ্টকারেন্সির ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সরকার বিল আনতে চলেছে।কেন্দ্রীয় সরকার শীঘ্রই প্রাইভেট ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং 29 নভেম্বর থেকে শুরু হওয়া সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে সরকার ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত বিল পেশ করবে। এটি সেই সমস্ত লোককে অস্বাস্তিতে ফেলবে যারা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে তাদের টাকা রেখেছেন, কারণ ভারত সরকার শীঘ্রই প্রাইভেট ক্রিপ্টো কারেন্সি পুরোপুরি নিষিদ্ধ করতে চলেছে।তবে এই ব্যাপারে সংসদীয় সমিতি আলোচনা করেছে বলেছে জানা গিয়েছে। সেখানে নিষেধের বদলে নিয়ন্ত্রণ করার দিকে জোর দেওয়া হয়েছে।
বর্তমানে ভারতের 10 কোটি মানুষের 70 হাজার কোটি টাকা ক্রিপ্টো কারেন্সিতে ঝুঁকিতে রয়েছে। এই পরিসঙ্খান আশ্চর্যের সাথে সাথে চিন্তারও বটে । ক্রিপ্টো কারেন্সি মানে ডিজিটাল কারেন্সি (Digital currency) এবং যার ওপর সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই, কিন্তু সরকার এখন তার উপর নিয়ন্ত্রন পেতে ছাইছে । 29 শে নভেম্বর থেকে সংসদের শীতকালীন অধিবেশনে যে নতুন বিলগুলি পেশ করা হবে, সেই তালিকার 10 নম্বরে রয়েছে ক্রিপ্টোকারেন্সি সংক্রান্ত বিল, যাতে স্পষ্টভাবে লেখা আছে যে ক্রিপ্টো কারেন্সি রিজার্ভ ব্যাঙ্ক জারি করবে। ভবিষ্যতে ভারতের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া(RBI) এবং সরকারি ডিজিটাল কারেন্সি (Cryptocurrency) ব্যতীত সমস্ত ব্যক্তিগত ক্রিপ্টোকারেন্সি নিষিদ্ধ করা হবে।
ক্রিপ্টোকারেন্সি (Cryptocurrency)-র অপব্যবহার নিয়ে এর আগেই সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi)। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Narendra Modi) বলেছিলেন যে ‘সমগ্র বিশ্বের গণতান্ত্রিক দেশগুলিকে নিশ্চিত করা উচিত যে এই নতুন যুগের ডিজিটাল মুদ্রা (Digital currency) ভুল হাতে না পড়ে। যা আমাদের যুবসমাজকে শেষ করে দিতে পারে।'