নিজস্ব প্রতিনিধি:-বাঁকুড়ার জঙ্গলে হাতির দলকে ফেরত পাঠাতে কালঘাম ছুটছে বনদফতরের কর্মীদের।বৃহস্পতিবার সকালে পূর্ব বর্ধমানে গলসি ও আউশগ্রামে ঢোকার পর শুক্রবার পর্যন্ত আউশগ্রামের মাটি ছাড়েনি বাঁকুড়া থেকে আসা ৪৯ টি হাতির দলটি।
তবে শুক্রবার দুপুর নাগাদ লোকালয় থেকে সরিয়ে নিয়ে গিয়ে আউশগ্রামের যাদবগঞ্জের জঙ্গলের ঢুকিয়ে দেওয়া হয় হাতির দলটিকে। জঙ্গলের চারপাশ ঘিরে নজরদারি চালাচ্ছেন বনকর্মীরা।রাত থেকে আবার হাতিগুলিকে তাড়ানোর কাজ শুরু হবে বলে জানান জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী ।
বৃহস্পতিবার হাতি তাড়ানোর কাজ করতে গিয়ে পদে পদে এলাকার মানুষজনের বাধার মুখে পড়তে হয়েছে বনকর্মীদের। উত্তেজিত জনতার হাতে মারও খেতে হয়েছে।দামোদর নদ পেড়িয়ে বৃহস্পতিবার সকালে আউশগ্রামে ঢুকে পরে ওই হাতির দল।
তারপর তারা আউশগ্রামের সরগ্রাম, ভোতা, তকিপুর, নওয়াদা প্রভৃতি গ্রামের মাঠে দাপিয়ে বেড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার থেকে বনকর্মীরা চেষ্টা চালান তাদের ওই পথে ফেরত পাঠাতে। কিন্তু ভোতা গ্রামের কাছে হাতির দলটি যেতেই স্থানীয় জনতা জড়ো হয়ে বিক্ষোভ শুরু করেন।
তারা তাদের ফসলের ওপর দিয়ে হাতির দলকে যেতে বাধা দেন। বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মালিদাপাড়া গ্রামের কাছে যখন হাতির দলটিকে নিয়ে যাওয়া হয় তখন স্থানীয় গ্রামবাসীরা বনকর্মীদের ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন। মারধরও করা হয় বলে অভিযোগ ।
স্থানীয় গ্রামবাসীরা হাতি তাড়াতে টায়ার জ্বেলে রাখেন।বাধ্য হয়ে বনকর্মীরা পালিয়ে আসেন। সেই সুযোগে ফের হাতির দল ফিরে আসতে থাকে শিবদা, নওয়াদা এলাকার দিকে।
আরো পড়ুন:- বার্নপুরের হিন্দু মিলন মন্দিরের জগধাত্রী পুজোর উদ্ধোধন করলেন আসানসোল পৌরনিগমের প্রশাসক
শুক্রবার সকালে দেখা যায় গুসকরা শহরের ধারে ইটাচাঁদা এলাকায় ঘোরাঘুরি করছে হাতির দলটি। শুরু হয় বনকর্মীদের নতুন লড়াই।রাতের দিকে যখন জনতার ভিড় থাকবে না তখন হাতিগুলিকে বাঁকুড়ার দিকে ফেরত পাঠানোর প্রয়াস শুরু হবে বলে জানাগেছে।