নিজস্ব প্রতিনিধি:- অবশেষে দলমার দামালরা দেশে ফিরলো।এক আধদিন নয়, একেবারে আটদিন পর দামোদর নদ পার করে বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গলে হাতির পালকে পাঠাতে সক্ষম হল বনবিভাগ। ভোর সাড়ে চারটার সময় হাতির পাল দামোদর নদ পেরিয়ে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ঢোকে।
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের আউসগ্রাম থেকে হাতির দলকে বাঁকুড়ার জঙ্গলে ফেরত পাঠানোর সময় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গলসির পারাজ স্টেশনে দাঁড়িয়ে যায় বিহারের রৌক্সোলগামী আপ মিথিলা এক্সপ্রেস। হাওড়া থেকে বিহার রৌক্সোল গামী আপ মিথিলা এক্সপ্রেস গলসির পারাজ স্টেশনে প্রায় দেড় ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকে।
ট্রেনটি বর্ধমান থেকে আনুমানিক ৬.১০ মিনিটে ছেড়ে আসার পরই তাকে পারাজ স্টেশনে থামিয়ে দেওয়া হয়। স্টেশনের পশ্চিম দিকে বেশ কিছুটা দূরে হাতির দলকে ট্রেন লাইন পার করানো হয় বনদপ্তরের পরিকল্পনা অনুযায়ী ।
তারপরই ২ নম্বর জাতীয় সড়ক। ওই কাজে বনকর্মীদের রীতিমত বেগ পেতে হয় পাশাপাশি স্থানীয় সহ ২ নম্বর জাতীয় সড়কের যাতায়াত কারী যানবহন ও মানুষকে সুরক্ষা দিতে জাতীয় সড়ক সহ বিভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয় পুলিশকর্মীদের।
এদিকে হাতি পার করানোর জন্য বেশ কয়েকটি লোকাল ট্রেন পারাজ স্টেশনে দেরিতে আসে । বনদপ্তরের কর্মীরা হাতির দলকে খড়ি নদী পার করে কোলকোলের কাছে সাতফুৃঁকোর কাছকাছি নিয়ে গিয়ে দুর্গাপুর এক্সপ্রেসওয়ে পার করাতে সক্ষম হয়।তারপর ধীরে হাতির পালকে হুলাপার্টির লোকজন মশাল জ্বালিয়ে দামোদর পার করায়।
দিনভর ১১০ জনের হুল্লাপার্টি ওর্য়াম আপ করে শেষ পর্যন্ত রাতে সফলতা মেলে।মুখ্য বনপাল কল্যাণ দাস বলেন,শিশু হাতি সহ গোটা হাতির পালটিকে দামোদর পার করে বাঁকুড়ার জঙ্গলে পাঠানো হয়েছে।
গত এক সপ্তাহ ধরে হাতির পালটি পূর্ব বর্ধমানের গলসি ও আউশগ্রামে তাণ্ডব চালায়।কয়েকহাজার বিঘে পাকা ধান নষ্ট হয়। একজন হুল্লাপার্টির সদস্য সহ দু'জন হাতির আক্রমণে জখম হয়।