নিজস্ব প্রতিনিধি:- কারো পৌষমাস।যখন কারো সর্বনাশ।বাঁকুড়ার পাত্রসায়েরের জঙ্গল থেকে ৬০ টি হাতির পাল হানা দিয়েছে পূর্ব বর্ধমানের গলসি পেরিয়ে আউশগ্রামে। সেই হাতির পালকে বাঁকুড়ায় ফিরিয়ে দিতে এক সপ্তাহের বেশি অভিযান চলছে।হাতির হানায় ইতিমধ্যেই বিঘের পর বিঘে জমির পাকা ধান নষ্ট হয়ে গেছে। হাতির হামলায় আহত হয়েছেন দু'জন।
মঙ্গলবার রাতে হাতি তাড়াতে গিয়ে আহত হয়েছেন এক হুলাপার্টির সদস্য। অন্যদিকে প্রথম দিনই গলসিতে এক মোটরসাইকেল আরোহীকে ছুঁড়ে ফেলে এক দাঁতাল। একশো দশ জনের হুলাপার্টির সদস্য দিনরাত প্রাণহাতে করে হাতি তাড়াচ্ছেন।তাদের সামনে নানা সমস্যা।
গোদের উপরে বিষফোঁড়া হাতি দেখতে আসা উৎসাহী পর্যটকেরা।রীতিমতো হাতি দেখতে আসার ঢ্ল নেমেছে আউশগ্রামের ভাল্কি এলাকায়। গত কয়েকদিন সেখানেই রয়েছে হাতির পাল।
মূলত দু'ধরণের লোক রয়েছেন। একদল বাইক বা চারচাকা করে পূর্ব বা পশ্চিম বর্ধমান ও বীরভূমের দিক থেকে আসছেন। তারা ঘন্টার পর ঘন্টা হাতির পাল দেখতে ছুটছেন। এর সাথে আছে গ্রাম ভেঙে দল বেঁধে আসা মানুষের দল। ইলামবাজার থেকে এসেছেন শেখ সুরজ। জানালেন,'যেখানেই আওয়াজ পাচ্ছি, ছুটছি।হাতি দেখতেই তো এতদূর আসা।'
অন্যদিকে রয়েছেন কলকাতা থেকে আসা পর্যটক। তারা ভাল্কি মাচান বাংলোয় রয়েছেন। যদি হাতির পাল দেখতে পান। এদের একজন কুণাল চট্টোপাধ্যায় জানালেন, ' বোমের আওয়াজ পাচ্ছি। কাছাকাছি আছে হাতির পাল। এত কাছে এসে আশা করছি তাদের দর্শন পাবো'। অন্যজন মনোজকুমার বসু।তিনি জানান, 'বিদেশে আফ্রিকাসহ অন্য জায়গায় হাতি দেখেছি। তবে এই খোলা জায়গায় হাতির পালকে চাক্ষুষ করার অভিজ্ঞতা অন্য। তাই রয়ে গেছি।'
আরো পড়ুন:- পাণ্ডবেশ্বরে গৃহবধূর রহস্য মৃত্যুর ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
হাতি তাড়াতে এমনিতেই সমস্যায় বনদপ্তরের কর্মীরা। একদিকে হাতির পাল বারবার ভাগ হয়ে যাচ্ছে। তাদের এক করতে ঘাম ছুটছে। পালে রয়েছে বেশ কয়েকটি শিশু হাতি। তাদের জন্য পুরুষ হাতিরা মারমুখী। অভিযানের গতিও শ্লথ হয়ে যাচ্ছে। অন্যদিকে রয়েছে বিষধর সাপ আর জোঁকের ভয়। এর উপরে এই উৎসাহী দর্শকরা আর এক সমস্যা। এই নিয়ে জেরবার হচ্ছেন হুল্লাপার্টির সদস্যরা।