শুভময় পাত্র,বীরভূম:- অবাঙালি সম্প্রদায়ের একাংশের বড় উৎসবের অন্যতম হলো ছট পুজো। এটি একরকম সূর্যদেব ও তাঁর পত্নী ঊষা দেবীর পূজা বলা যেতে পারে। ঊষা দেবী কে ছটটি মাইয়া বোলে সম্বোধন করা হয়। আজ ১০ই নভেম্বর বুধবার থেকে শুরু হয়ে গেল ছট পুজো। সন্ধ্যা অর্ঘ্য দিয়ে শুরু হয় পুজোর মূল বা প্রধান কর্মসূচি। এই উপলক্ষে বোলপুর তার আশেপাশের বিভিন্ন জলাশয় ও নদ-নদীর চর গুলিকে সুসজ্জিত করে পূজা অর্চনার ব্যবস্থা করা হয়েছে । চারটি তিথিতে চলবে ছটের আচার অনুষ্ঠান।
চারদিনের এই ব্রতের প্রথম দিনে বাড়ি-ঘর পরিষ্কার করে স্নান সেরে শুদ্ধাচারে নিরামিষ খাওয়ার রেওয়াজ আছে।পরদিন থেকে শুরু হয় উপোস। ব্রতীরা দিনভর নির্জলা উপবাস করে সন্ধ্যার পর পুজো শেষ করে ক্ষীরের খাবার খান, অর্থাৎ তৃতীয় দিনে সূর্যাস্তের সময় কোনও নদী বা জলাশয়ের ঘাটে গিয়ে অন্যান্য ব্রতীদের সঙ্গে অস্তগামী সূর্যকে দুধ অর্পণ করেন ব্রতীরা, এই আচারকে 'সন্ধ্যা অর্ঘ্য'বলে।
ব্রতের শেষদিন ঘাটে গিয়ে উদীয়মান সূর্যকে ফের দুধ দান করে উপোস ভাঙা হয়। এই আচারের নাম 'ঊষা অর্ঘ্য'। সব মিলিয়ে ছট উপলক্ষে প্রায় ৩৬ ঘণ্টা নির্জলা উপোস করেন ব্রতীরা। পুজোর প্রসাদ হিসাবে থাকে বাঁশ দিয়ে তৈরি পাত্রে গুড়, মিষ্টি, ক্ষীর, ঠেকুয়া, ভাতের নাড়ু, আখ, কলা, মিষ্টি লেবু।
বিশেষ করে এই দুই দিন প্রথম দিন সন্ধ্যা ও দ্বিতীয় দিন ভোর বেলার কর্মসূচিতে বোলপুরের বিভিন্ন জলাশয় সুসজ্জিত করা হয়েছে। বোলপুর পৌরসভা ও বোলপুর প্রশাসনের সহযোগিতায় ছট পুজোর এই বিশেষ অনুষ্ঠান বোলপুরের অবাঙালি মানুষের পাশাপাশি বাঙালিরাও বিশেষভাবে উপভোগ করছে এই উৎসবটিকে।