শুভময় পাত্র, বীরভূম:- ইউনেস্কোর ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেতে আবারো সক্রিয় বিশ্বভারতী। পূর্বে অধ্যাপক রজতকান্ত রায় উপাচার্য থাকাকালীন ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমার জন্য বিশ্বভারতী বিশেষ তৎপরতা দেখিয়েছিল। কিন্তু শেষমেশ জোটেনি কতগুলো কারণে । যার মধ্যে অন্যতম কারণ ছিল শান্তিনিকেতনের বুক চিড়ে চলে যাওয়া সরকারি রাস্তা।বিশ্বভারতী আশ্রম লাগোয়া পৌর এলাকায় নির্মিত বাড়িঘর বা ফ্ল্ফ্ল্যাট নির্মান বিষয়ে বিশ্বভারতীর কোন নিয়ন্ত্রণ না থাকা ইত্যাদি ।
এবারে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন এই উপাচার্যের পাঁচিল দিয়ে ঘেরা শান্তিনিকেতনে খোলামেলা ভাবটাও উধাও করে দিয়েছে।সেটা অন্তরায় হতে পারে। যদিও কেন্দ্রীয় সরকার শান্তিনিকেতন ওয়াল্ড হেরিটেজের তকমা পাক এটা খুব বেশি করে চাইছে।কারণ তাদের মনোনীত উপাচার্য বিশ্বভারতীকে নানান বিতর্কে ফেলে দিয়েছে। সারা দেশজুড়ে এমপি এমএলএ রা প্রতিবাদ করছেন। এই মুহূর্তে কেন্দ্রীয় সরকার যদি শান্তিনিকেতন কে ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা এনে দিতে পারে তাহলে দুটো বার্তা দেওয়া যাবে । এক এই উপাচার্যের জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের গায়ে রবীন্দ্রনাথ বিরোধী যে তকমা চেপেছে সেটাকে এক নিমিষে উড়িয়ে দেওয়া যাবে।
দ্বিতীয়ত,ইউ পি এর আমলে এই ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা জন্য চেষ্টা করলেও তা তারা করতে পারেনি, বিজেপি সরকার সেটা করে দেখাল। এই বার্তাটা ২০২৪ এ নির্বাচনের আগে বাঙালি এবং রবীন্দ্রপ্রেমীদের কাছে বিশাল ভাবে একটা বার্তা দেওয়া যাবে । সেই মতই ইউনেস্কোর প্রতিনিধিদল আজ শান্তিনিকেতনে এসেছেন। তারা বিশ্বভারতীর আধিকারিক, অধ্যাপকদের সাথে কথা বলছেন ঘুরে দেখছেন।
আরো পড়ুন :-দিনে দুপুরে বর্ধমান শহরের কেন্দ্রস্থলে টোটোচালকের উপর অস্ত্র নিয়ে আক্রমণ চালাল তিনজন নেশাগ্রস্ত যুবক
ইতিমধ্যেই অবশ্য কেন্দ্রীয় সরকারের আর্কিওলজিক্যাল সার্ভে অফ ইন্ডিয়া তারা রবীন্দ্রনাথের মাটির বাড়ি শ্যামলী, উত্তরায়ন এর মধ্যে থাকা কবির বাড়ি ,কলাভবনের শিল্প স্থাপত্য সেগুলো সংরক্ষণের পাশাপাশি সেগুলোকে নতুন করে গড়ে তোলা হচ্ছে ঐতিহ্যকে সঙ্গে নিয়ে। সেইগুলো ইউনিসকোর প্রতিনিধিদল দেখবেন। এবার কি অবস্থা দাঁড়ায় তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে শান্তিনিকেতন।