ওয়েব ডেস্ক :-অবশেষে রাহুল,প্রিয়াঙ্কাকে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি দিল যোগী সরকার। তাঁদের সঙ্গে আরও তিনজন সদস্যকেও অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত,কৃষকদের মিছিলের উপরে গাড়ি চালিয়ে দেওয়ার ঘটনায় আটজন নিহত হওয়ার পর রবিবার সন্ধ্যায় প্রিয়াঙ্কা লখিমপুর খেরির উদ্দেশে রওনা হন। পথে যোগী রাজের পুলিশ সীতাপুরে তার কনভয় থামায়। পরে তাকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এ সময় তাকে শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ করে কংগ্রেস। তার হাতে হাতকড়া পরানো হয়। প্রিয়াংকা গাড়ির কনভয় আটকানোর পর পুলিশের সঙ্গে তিনি বিতণ্ডায় জড়ান। এরপর প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সীতাপুরের একটি গেস্ট হাউসে আটক করে রাখা হয়। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কা গান্ধী মঙ্গলবার সকালে টুইটারে একটি ভিডিও বার্তায় মোদী সরকারকে কে আক্রমণ করেন। এর কিছুক্ষণ পরেই উত্তরপ্রদেশ পুলিশ জানায় প্রিয়াঙ্কার গ্রেপ্তার করার কথা।
অন্যদিকে কংগ্রেস উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথকে চিঠি লিখে লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চেয়েছিলো।চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে, রাহুলের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল লখিমপুর যাওয়ার অনুমতি চাওয়া হয়েছিল । চিঠিতে প্রিয়াঙ্কাকে কেন জোর করে আটকে রাখা হয়েছিল তা নিয়েও প্রশ্ন করা হয়েছে । তবে, আবেদনের পরও কংগ্রেসকে অনুমতি দেওয়া হয়নি।বলা হয়েছিল যে আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনা করে এই সির্দ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে ।এরপরেও বিমানে চেপে বসেন রাহুল। প্রতিনিধি দল নিয়ে রওনা দেন লখিমপুরের উদ্দেশে। এরমধ্যেই সিদ্ধান্ত বদল করে যোগী সরকার। রাহুল, প্রিয়াঙ্কাসহ আরও তিনজনকে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করার অনুমতি দেয়।