আউসগ্রাম |
শুভময় পাত্র ,বীরভূম ও আউশগ্রাম :- দুই জেলার দু'রকম অবস্থা বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতির। অজয় নদের জলোচ্ছ্বাসে ভেঙে যাওয়া নদী বাঁধের কবলে পড়েছেন বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত সুন্দরপুর গ্রাম। ঠিক একইভাবে নদীর ওপারে আউসগ্রাম থানার অন্তর্গত ভেদিয়া সংলগ্ন সাতলা গ্রাম একইভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কিন্তু দেখার বিষয় বীরভূম ও পূর্ব বর্ধমান দুই জেলার বন্যা পরিস্থিতির পরবর্তীকালে যে পরিষেবা বা ত্রাণ সামগ্রী পাওয়ার কথা তা কিন্তু অনেকটাই ভিন্ন চিত্র লক্ষ্য করা গেল এই দুই জেলার মধ্যে।
যদিও বীরভূম ও তার পাশেই আউসগ্রাম থানা এলাকা ও কিন্তু রাজনৈতিক দিক থেকে একজনের দায়িত্বেই আছে। তিনি হলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। তিনি যেভাবে দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন বন্যা কবলিত এলাকা দেখাশোনা করার জন্য তাতে কিন্তু কোনোরকম খামতি নেই বীরভূম জেলার নানুর থানার অন্তর্গত সুন্দরপুর গ্রামে। ঠিক অন্যদিকে আউসগ্রাম থানার অন্তর্গত সাতলা গ্রামে সেই ধরনের পরিষেবা কিন্তু পারছেন না বন্যা কবলিত গ্রামবাসীরা তেমনটাই জানিয়েছেন।
আউসগ্রাম |
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সরকারি উদ্যোগে বেশ কিছুটা সাহায্য পেলেও রীতিমতো আতঙ্কে রয়েছে তাদের এখন পরিস্থিতি। ঘরবাড়ি পুরো ভেঙে না পড়লেও জলের তলায় চলে যাওয়ার কারণে এখন ওই ঘরে বাস করতে পারছেন না কেউই সাতলার গ্রামবাসীরা। তাই নিরুপায় হয়ে তাদেরকে বসবাস করতে হচ্ছে নদী বাঁধের ওপর ত্রিপল টানিয়ে। বর্তমান আবহাওয়া পরিস্থিতি যে পরিবর্তন কখনো হঠাৎ বৃষ্টি আবার কখনো প্রচন্ড তাপদাহ, এই দুই রকম পরিস্থিতি কে কিভাবে যে মানিয়ে নিচ্ছেন বন্যাকবলিত এলাকার মানুষজন তা সত্যিই চিন্তার বিষয়।
নানুর |
বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধিরা তাদের সাহায্য মত ত্রাণ নিয়ে পৌঁছে যাচ্ছেন সেই সমস্ত বন্যা কবলিত এলাকা গুলোতে। সরকারি সাহায্য ছাড়া ও ব্যক্তিগত ও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইতিমধ্যেই পাশে দাঁড়িয়েছেন দুই জেলার বন্যা কবলিত মানুষগুলির পাশে। এদিন এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার প্রতিনিধি নন্দা রায় বসু ও অর্পিতা সি জানান, দুই জেলাতেই বন্যা পরবর্তী পরিস্থিতি দেখতে গিয়ে যে অভিজ্ঞতা হয়েছে তার ভিত্তিতে জানান বীরভূমের নানুর থানার অন্তর্গত সুন্দরপুর গ্রামে গ্রামবাসীদের জন্য বর্তমান শাসক দলের প্রতিনিধিরা যেভাবে তাদের পাশে দাঁড়িয়েছেন তা সত্যিই প্রশংসনীয়।
নানুর |
খাবার-দাবারের দিকে কোন রকম এখনো পর্যন্ত অভাব রাখেনি গ্রামবাসীদের। তাছাড়াও বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সাহায্য তো আছেই। অন্যদিকে বর্ধমান জেলার আউসগ্রাম থানার অন্তর্গত সাতলা গ্রামে বন্যা কবলিত গ্রামবাসীদের স্থায়ী কোন খাবার ব্যবস্থা করা হয়নি এখনো পর্যন্ত। ব্যক্তিগত উদ্যোগে দু-একবার হয়তো কেউ খাবার নিয়ে আসছেন। আর রাতের দিকে পঞ্চায়েত থেকে একবার খাবার পৌঁছানোর ব্যবস্থাও করা হয়েছে। কিন্তু দিনের বেলায় রয়েছে খাবারের অনিশ্চয়তা। ত্রিপল টানিয়ে বাঁধের ওপর বসবাস করে খাবার রান্না করা সত্যিই এখন দুরূহ ব্যাপার হয়ে উঠেছে গ্রামবাসীদের।