আজ মহালয়া। পিতৃ তর্পণের দিন। আবার এদিন থেকেই কার্যত ঢাকে কাঠি পড়ে প্রাণের শারদোৎসবের। মহালয়ার পূণ্যলগ্নে পূণ্যার্থীদের ভিড় বর্ধমানের দামোদর ও বাঁকা নদীর ঘাটে।
শাস্ত্রীয় আচার ও যুগ যুগ ধরে চলে আসা প্রথা মেনে এদিন দামোদর ও বাঁকা নদীর তীরের ঘাটগুলিতে সমবেত হন পূণ্যকামী মানুষজন। এদিনটা পূর্বজদের স্মৃতির উদ্দেশ্য তর্পণ করে তাদের শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। যথাবিহিত আচার মেনে দামোদর নদে স্নান ও তর্পণ হয়। একই বিধি পালন হয় বাঁকা নদের পাড়েও। গতবার কোভিড সংক্রমণের জেরে তর্পণে সমাগম কম ছিল। এবারে প্রকোপ এখন কম। তাই সমাগম ছিল ভালই। পুলিশ সহ নিরাপত্তার ব্যবস্থাও ছিল প্রশাসনের তরফে।
মহালয়ার পূণ্য তিথিতে আসানসোল পৌরনিগমের দামোদর নদের ঘাটে পূর্ব পুরুষদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন ও তর্পণের জন্যে সকাল থেকেই পূণ্যার্থীদের ভীড়। তবে এই বছর বিগত কয়েকদিনে নিম্নচাপের দরুণ অতি ভারী বৃষ্টির কারণে দামোদরের বুকে অস্বাভাবিক জলস্ফিতি ও স্রোত বজায় রয়েছে ৷
এই পরিস্থিতিতে যাতে কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে , সেই সব দিক লক্ষ্য করে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বেশ কিছু ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় ৷ বিশেষত পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে আগত পুন্যার্থীদের জলের গভীরতা ও স্রোত সম্পর্কে সচেতন করে নিরাপদ স্থানে দাঁড়িয়ে উপাচার পালনের অনুরোধ করা হয় ৷ অন্যদিকে দামোদর নদের বুকে এদিন বিপর্যয় মোকাবিলা দলের সদস্যরা যে কোনো পরিস্থিতির মোকাবিলার জন্যে সক্রিয় অবস্থায় সক্রিয় বোটে ঘুরে বেড়ায় ৷