সোমনাথ মুখার্জি ,অন্ডাল :- কলকাতার সল্টলেক সেক্টর ১ এর বাসিন্দা গণেশ দে তাঁর মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন ২০০৯ সালের নভেম্বর মাসে । অন্ডালে স্কুলপাড়ার বাসিন্দা প্রবাল দত্তের সঙ্গে । অত্যাচারিত মুনমুন দত্ত (দে-র) মা তাপসী দে জানান, সম্বন্ধ করে দেনা পাওনা দিয়ে তিনি তার মেয়ের বিয়ে দিয়েছিলেন অন্ডালে স্কুলপাড়ার বাসিন্দা প্রবাল দত্তের সঙ্গে । বিয়ের সময় যৌতুক হিসেবে দেনাপাওনা আসবাবপত্র সবকিছু দেওয়া হয়েছিল পাত্রপক্ষকে । এমনটাই জানায় মুনমুন এর মা ।
শুধু বিয়ের সময় পাত্রপক্ষের পণ স্বরূপ এক লক্ষ কুড়ি হাজার টাকার মধ্যে সবটা দিতে পারেনি মেয়ের বাড়ির লোকজন ।যদিও মেয়ের বাড়ির লোকের অভিযোগ সেইসময় পাত্রপক্ষ তাতেই রাজি হয়েছিল ফলে বিয়েটা সম্ভব হয়েছিল । কিন্তু তারপর থেকেই শ্বশুরবাড়িতে মুনমুনের ওপর চলতে থাকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন বলে অভিযোগ। শ্বশুরবাড়ি থেকে মেয়ের উপর চাপ দেওয়া হয় টাকা আনবার জন্য । টাকা দিতে না পারায় তাঁদের মেয়ের উপর অত্যাচার শ্বশুরবাড়ির লোকেদের এমনটাই অভিযোগ মুনমুনের বাবা গণেশ দে-র । এই পারিবারিক অশান্তির ফলে বেশ কয়েকবার দু পক্ষের মধ্যে আলোচনাও হয় ।কিন্তু আলোচনা ফলপ্রসূ হয়নি ।শ্বশুরবাড়ির লোকেদের অত্যাচার কমেনি গৃহবধূ মুনমুনের উপর ।
অত্যাচারের মাত্রা চরমে পৌঁছায় গতকাল রাতে ।মুনমুনের বাবার বাড়ির লোকজন কলকাতা থেকে আসে মুনমুনকে নিয়ে যাওয়ার জন্য । কিন্তু বাধ সাধে মুনমুনের শ্বশুরবাড়ির লোকজন । মুনমুনের শ্বশুর, শাশুড়ি, দেওর ও মুনমুনের স্বামী সকলে মিলেই মুনমুনের মা ও বাবার ওপর চড়াও হয় । ব্যাপক মারধর করা হয় মুনমুনের মা ও বাবাকে বলে অভিযোগ । এর পরেই মুনমুনকে নিয়ে তাঁরা অন্ডাল থানায় লিখিত অভিযোগ জানায় মুনমুনের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের বিরুদ্ধে । অভিযোগ পাওয়া মাত্রই অন্ডাল থানার পুলিশ মুনমুনের স্বামী প্রবাল দত্ত সহ শ্বশুর শান্তিময় দত্ত ও দেওর শৈবাল দত্ত কে গ্রেপ্তার করে । সকালে তাঁদের দুর্গাপুর আদালতে তোলা হয় ।
অত্যাচারিতা গৃহবধূ মুনমুনের মা তাপসী দে জানান,তাঁরা আর কোনোভাবেই তাদের মেয়েকে এখানে রেখে যাবেন না । কেননা শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁদের মেয়েকে মেরে ফেলতে পারে ।এমনটাই আশঙ্কা করছেন তাঁরা ।তারা তাদের মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় ফিরে যেতে চান । অত্যাচারিতা মুনমুনও আর শ্বশুরবাড়িতে থাকতে রাজি নয় ।
অত্যাচারিতা গৃহবধূর বাপের বাড়ির লোকেদের দাবি, কঠিন শাস্তি দিতে হবে মুনমুনের শ্বশুরবাড়ির লোকেদের । যদিও সম্পূর্ণ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে অন্ডাল থানার পুলিশ । সূত্রের খবর তদন্তে দোষী প্রমাণিত ব্যক্তিদের কঠিন শাস্তি অনিবার্য ।