শুভময় পাত্র, বীরভূম:- বহিস্কৃত তিন ছাত্রকে স্বাভাবিক পঠন-পাঠনে ফিরিয়ে আনতে হবে,সহ ১১ দফা দাবি নিয়ে এবার বিশ্বভারতীর কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বলাকা গেটের সন্নিকটে বিক্ষোভ কর্মসূচি দেখালো বিশ্বভারতীর ছাত্র ছাত্রী ঐক্য।
অনৈতিকভাবে বিশ্বভারতীর তিন পড়ুয়াকে সাসপেন্ডের প্রতিবাদে গত মাসে টানা ১৩ দিন অচল অবস্থা শুরু হয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে। বিশ্বভারতীর উপাচার্য অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী বাড়ির সামনে অবস্থান মঞ্চ গড়ে ছাত্র-ছাত্রী থেকে শুরু করে অধ্যাপক কর্মী ও আশ্রমিকদের একাংশ আন্দোলন কর্মসূচি গড়ে তুলেছিল। বহুদিন যাবৎ গৃহবন্দি হয়ে থাকতে হয়েছিল উপাচার্য কে। বিশ্বভারতীর পড়ুয়া বিক্ষোভে কার্যত তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। অবশেষে কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশে সেই আন্দোলন কর্মসূচি থেকে পিছু হটে আন্দোলনকারীরা।
কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল অবিলম্বে ছাত্র-ছাত্রীদের সাসপেনশন প্রত্যাহার করে ছাত্র-ছাত্রীদের স্বাভাবিক পঠন-পাঠনের ফিরিয়ে আনতে হবে। অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তীর বিরুদ্ধেও অসন্তোষ প্রকাশ করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। 'লঘু পাপে গুরু দণ্ড' উপাচার্যের উদ্দেশ্যে এহেনো মন্তব্য করেছিল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে কলকাতা হাইকোর্ট নির্দেশ দিলেও এখনো তা কার্যকরী করেনি বিশ্বভারতী। ঘটনার বহু দিন হয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত ওই তিনজন পড়ুয়াকে বিশ্বভারতীতে ফেরানো হয়নি।
আজ সোমবার বিশ্বভারতী সেন্ট্রাল অফিসে একাডেমিক কাউন্সিল বৈঠক ছিল। বৈঠকের খবর পেয়ে বিশ্বভারতীর ছাত্রছাত্রীকে তরফ থেকে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের পূর্ব দিকের বলাকা গেটে বিক্ষোভ দেখায় ছাত্র-ছাত্রীরা। ছাত্র-ছাত্রীদের দাবি, একাডেমিক কাউন্সিল মিটিংয়ে শিক্ষামূলক চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়।। তবে অধ্যাপক বিদ্যুৎ চক্রবর্তী তাহলে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের পঠন-পাঠনে আরো উন্নততর হবে পাশাপাশি ছাত্র-ছাত্রীদের বিভিন্ন দিক থেকে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেবে কর্তৃপক্ষ এহেন ভূমিকা কখনো চোখে পড়ছে না। তাই সামগ্রিক দাবি তুলে আবারো বিশ্ববিদ্যালয়ের গেটের সামনে ছাত্রবিক্ষোভে নামলো পড়ুয়ারা।