ওয়েবডেস্ক:-গত দু’দিনের প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত পাহাড়৷ জায়গায় জায়গায় নামছে ধস৷ এর জেরে সবচেয়ে সমস্যায় পড়েছেন পর্যটকরা ৷ ধসের ফলে রাস্তা বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাড়ি নিয়ে সেখানেই আটকে পড়েছেন বহু পর্যটক৷ অনেকে বন্দি হোটেলে৷
প্রবল বৃষ্টির জেরে কালিম্পংয়ে ধস নেমেছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে পাহাড়ে পর্যটন ব্যবসা ক্ষতির মুখে । রাস্তাঘাট থেকে নিয়ে যোগাযোগের সমস্ত দিকগুলো বন্ধ। ধসের কারণে শিলিগুড়ি থেকে সিকিম ও কালিম্পংয়ে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে৷ কার্যত, যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন ৷
ধসের কারণে, শিলিগুড়ি-সিকিম ও শিলিগুড়ি-কালিম্পং রুটে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে বলে শিলিগুড়ি পুলিশ জানিয়েছে৷সোমবার রাত থেকে দার্জিলিং জেলায় প্রবল বৃষ্টি শুরু হয়েছে। প্রবল বৃষ্টি থামার কোনো নাম নেই। পর্যটকরা রাতভর লাভা ও আলগারা রাস্তায় আটকে ।
স্থনীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার দুপুরের পরে ২৯ মাইলের ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের কাছে বড় ধসে নামে৷ যা মেরামত করতে দীর্ঘক্ষণ সময় লাগবে৷ শিলিগুড়ি পুলিশ কমিশনারেটের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ভারী পণ্যবাহী গাড়ি গুলিকে শিলিগুড়ি থেকে ওই দুই রুটে না এগনোর বার্তা দেওয়া হয়েছে৷ ছোট গাড়ি গুলিকে করনেশন ব্রিজ,তিস্তা ও রংপো রুটে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে ৷
URGENT TRAVEL ADVISORY.
— Siliguri Police Commissionerate (@SiliguriPolice) October 19, 2021
There is a major landslide at 29 mile (NH10) which may take long to clear.
Goods Vehicles should not take that route from Siliguri until further orders
Small vehicles shall be diverted from Coronation Bridge, Teesta, and Rungpo.
ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ের বিভিন্ন রাস্তার উপর দিয়ে জল বইছে৷ দার্জিলিংয়ের গোক থেকে সিঙ্গেল বাজারে যাওয়ার লোহার ব্রিজের ওপর ধস নামায় রাস্তা বন্ধ হয়ে হয়ে যায়। রিম্বিক, বিজনবারির বিভিন্ন জায়গায় নেমেছে ধস। সুখিয়াপোখরি থেকে মানভঞ্জন যাওয়ার রাস্তাও ধসের ফলে বন্ধ হয়ে গেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে উদ্ধারকাজ শুরু হয়েছে। তবে, ক্রমাগত প্রবল বৃষ্টির জন্য ধস সরানোর কাজ ব্যাহত হচ্ছে।
আরো পড়ুন:- লাগাতার বৃষ্টিতে পাহাড়ে ধস,আটকে বহু পর্যটক, উদ্ধারে চেষ্টা চালাচ্ছে প্রশাসন
কার্শিয়াং-এর বেশ কয়েকটি বাড়ি ধসের ফলে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে নিয়ে আসা হয়েছে। শুধু কার্শিয়াং লেবং, তাকদা সহ বিভিন্ন জায়গায় ছোট-বড় মিলিয়ে প্রচুর সংখ্যক বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। বৃষ্টি না কমলে আরো বড়সড় ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে ৷