Type Here to Get Search Results !

স্বাদ ও গন্ধে আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে মানকরের কদমা


তনুশ্রী চৌধুরী, বুদবুদঃ- স্বাদ ও গন্ধে আজও ঐতিহ্য বহন করে চলেছে বুদবুদের মানকরের কদমা। স্থানীয় বিক্রেতাদের দাবি এক সময় মানকরের কদমা বর্ধমান ছাড়াও বিভিন্য জেলা ছাড়িয়ে বিদেশেও পাড়ি দিত। বাজারে যে সমস্ত কদমা পাওয়া যায় তাতে রাসায়নিক মেশানো থাকে। কিন্তু মানকরের কদমা তৈরি হয় চিনি ও ছানার জল দিয়ে কোনওরকম রাসায়নিক ছাড়া। তাই মানকরের কদমার চাহিদা চিরকাল একই। 

৫০গ্রাম থেকে ৭কেজি, যেরকম ওজনের বায়না হয় সেরকম ওজনের কদমা তৈরি করেন মানকরের কদমা প্রস্তুতকারীরা। দুর্গা পুজো কালী পুজো তো বটেই বিয়ের অনুঠানেও শাড়ি সহ বিভিন্ন জিনিস কদমার ভিতরে ভরে তত্বে পাঠানোর রেওয়াজ রয়েছে বহুদিন ধরে। 

বিক্রেতাদের দাবি চিনির দাম,কাঠের জ্বালানি ও পরিশ্রম বাদে এখন আর তেমন লাভও হয় না। তার উপর কোপ বসিয়েছে করোনা। করোনার জেরে সমস্ত পূজা-আর্চা থেকে বিয়ে সহ সমস্ত সামাজিক অনুষ্ঠান, সবকিছুতেই হচ্ছে কাটছাট। ফলে ক্রেতা আগের চেয়ে অনেকটাই কমেছে। যার জেরে ব্যবসা প্রায় তলানিতে। ফলে সমস্যায় পড়েছেন মানকরের কদমা প্রস্তিতকারীরা।এমনকি এভাবে আর কতদিন এই ব্যবসা চালানো যাবে সে বিষয়ে মত প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কদমা ব্যবসায়ীরা।

সারা বছরের পাশাপাশি কালি পুজোর সময় কদমার চাহিদা থাকে অনেক তাই সন্ধ্যা নামতেই বুদবুদের মানকর হাট তলায় কদমা তৈরির ব্যস্ততা পড়ে যায়।

আরো পড়ুন:- বাসের সঙ্গে একটি ডাম্পারের মুখোমুখি সংঘর্ষে আহত ২৪ জন যাত্রী

মানিক কর নামের এক কদমা প্রস্তুতকারী জানিয়েছেন তিনি বাবার কাছে কদমা তৈরি শিখেছিলেন।বর্তমানে তার ছেলে তার সাহায্য করে। তবে যেভাবে চিনি আর জ্বালানির দাম বেড়েছে,তাতে কদমার ঐতিহ্য টিকিয়ে রাখতে তারা এই শিল্পকে বাঁচিয়ে রেখেছেন।

তার দাবি বাজারে যে সমস্ত কদমা পাওয়া যায় তার স্বাদ আর মানকরের কদমার স্বাদ অনেক আলাদা।সেই কারণেই মানকরের কদমার চাহিদা রয়েছে। বর্তমনে করোনার জন্য বাজার মন্দা রয়েছে।তাও লাভের আশায় এবছরও বেশ কিছু কদমা তারা তৈরি করেছেন।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad