ওয়েবডেস্ক:- এবছরেও কালীপুজো ও দীপাবলিতে সব ধরনের বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করল কলকাতা হাইকোর্ট। শুধুমাত্র প্রদীপ ও মোমবাতি জ্বেলেই কালীপুজো, ছটপুজো-সহ যাবতীয় উৎসব পালন করতে হবে।হাইকোর্টের নির্দেশ, এই উৎসবে কোনও বাজি ব্যবহার করা যাবে না।কয়েকদিন আগে কালীপুজোয় রাত আটটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত শুধুমাত্র পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর অনুমতি দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ। একইভাবে ছটপুজোয় দু’ঘণ্টা, বড়দিন এবং বর্ষবরণের রাতে ৩৫ মিনিট পরিবেশবান্ধব বাজি পোড়ানোর নির্দেশ দেয় পশ্চিমবঙ্গ দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ।
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টে বাজি সংক্রান্ত মামলার শুনানিতে আদালতের পর্যবেক্ষণ, ‘পরিবেশ বান্ধব বাজির অনুমতি দিয়েছে রাজ্য দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদ, কিন্তু সেগুলো কীভাবে পরীক্ষা করা হবে? সাধারণ বাজিকে যে পরিবেশ বান্ধব বাজি বা গ্রিন ক্র্যাকার্স বলে বিক্রি করা হবে না, তারই বা নিশ্চয়তা কোথায়। কে পরীক্ষা করবেন সেই বাজি, তার কোন উত্তর পর্ষদের কাছে নেই’। এরপর বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য এবং বিচারপতি অনিরুদ্ধ রায়ের ডিভিশন বেঞ্চে জানায়, ‘বেঁচে থাকার অধিকার মৌলিক অধিকার। বৃহত্তর স্বার্থের কথা ভেবে ক্ষুদ্রতর স্বার্থকে উপেক্ষা করা যায়’। বিচারপতি জানান, ‘করোনাভাইরাসের তৃতীয় ঢেউ আসার আশঙ্কা আছে। সেই পরিস্থিতিতে বাজি পোড়ানোর অনুমতি কীভাবে দেওয়া যায়? মানুষের বৃহত্তর স্বার্থের জন্যই বাজি পোড়ানোর উপর নিষেধাজ্ঞা বহাল রাখা হচ্ছে।‘
আরো পড়ুন:- তৃণমূলে যোগ দিলেন লিয়েন্ডার পেজ, অভিনেত্রী নাফিসা আলি
দুর্গাপুজোর পর থেকেই রাজ্যে লাফিয়ে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। এই আবহেই কালীপুজো। বাজির ধোঁয়া থেকে শ্বাসকষ্টের সমস্যা হতে পারে বয়স্ক ও শিশুদের, এই কারণ দেখিয়ে চলতি বছরে কালীপুজো সহ সব উত্সবে বাজি নিষিদ্ধ করার আর্জি জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে দায়ের হয় জনস্বার্থ মামলা। সেই মামলার রায় দিয়ে রাজ্যকে দুই বিচারপতির নির্দেশ, ‘বাজি সংক্রান্ত মামলার রায় কার্যকর করার ভার নিতে হবে প্রশাসনকেই’।
করোনার প্রভাবে এমনিতেই আর্থিক ক্ষেত্রে মন্দা। তারওপর হাইকোর্টের এই নির্দেশে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন আতসবাজি ব্যবসায়ীরা। এমনটাই মত আতসবাজ উন্নয়ন সমিতি।