নিজস্ব প্রতিনিধি:- কতরকম চুরির কথাই না শোনা যায়।বই চুরি; শাড়ি চুরি; গয়না চুরি। কিন্তু তা বলে শখের বিদেশী বাহারি গাছ চুরি? হ্যাঁ। এমনই ঘটেছে বর্ধমান শহরের নতুনপল্লীতে। গাছপ্রেমী অমর চক্রবর্তী রীতিমতো থানায় অভিযোগ করে চুরির বিহিত চেয়েছেন। আবার গাছ চোরের কীর্তি ধরাও পড়েছে গোপন ক্যামেরায়।
অমর চক্রবর্তী একজন অবসরপ্রাপ্ত প্রবীণ মানুষ।তিনি গাছপ্রেমী। তার বাড়িতে দামি বেশ কিছু গাছ আছে।যদিও অনেকগুলিই বিদেশী পাতাবাহার ,আছে মাছ আর পাখিও।বছরখানেক ধরে বিদেশি নামিদামি গাছ চুরি করে চম্পট দিচ্ছে চোরেরা। এই অদ্ভুত ঘটনাটি ঘটেছে বর্ধমান শহরের আট নম্বর ওয়ার্ডের নতুন পল্লী এলাকায়।
বাড়ির মালিক অমর চক্রবর্তী জানান,'আমি একজন গাছ প্রেমী। সুতরাং প্রচুর পরিমানে নামিদামি গাছ বাড়িজুড়ে লাগানো রয়েছে।প্রায়শই বাড়ি থেকে টবে লাগানো গাছ চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে। আর এটা ঘটছে অনেকদিন ধরেই।' তিনি আরো জানান,কীভাবে চুরি হচ্ছে? তা জানার জন্য বাড়ির চারিদিকে সি সি টিভি লাগানো হয়।
কার্যতঃ চুরির পরের দিন তিনি সি সি টিভি তে দেখতে পান, মুখ ঢাকা দিয়ে দুই ব্যক্তি রাতের অন্ধকারে গাছচুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।বাড়ির মালিক অমর চক্রবর্তী এই নিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।তিনি জানিয়েছেন,বারবার চুরির বিহিত চাইতেই তিনি পুলিশের শরণাপন্ন হয়েছেন।
বর্ধমান থানার পুলিশের হয়েছে আজব সমস্যা।মাসাধিক আগেই বর্ধমানের নামী এক হাইস্কুলে একটি শিরিষ গাছের মৃত্যু ' রহস্যজনক ' ধরে নিয়ে পুলিশে দ্বারস্থ হয়েছিলেন প্রাথমিকের প্রধানশিক্ষক। সেই তদন্তে পুলিশ গিয়েছিল।সেই জল অনেকদুর গড়ায়।গাছচুরি কান্ডের জল কতদূর যায় সেটাই এখন দেখার।
আরো পড়ুন :-গাছ নিয়ে চোরেরা কী করবে তা অবশ্য এখনো জানা যায়নি। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রপতি পুরস্কারপ্রাপ্ত 'গাছ মাস্টার' অরূপ চৌধুরী জানান, ' গাছ লাগানো পূণ্যের কাজ।তবে চুরি করা নয়। ওই ভদ্রলোক গাছ ভালবাসেন।কোভিড সংক্রমণের জেরে গাছ নিয়ে আগ্রহ আরো বাড়ছে।'