নিজস্ব প্রতিনিধি:- শ্বাশুড়ি খুনের দায়ে ধৃত জামাইকে নিয়ে তদন্তের জন্য পূর্ব বর্ধমানের ভাতার থানার মাহাতা গ্রামে আসে পুলিশ।পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশীরা 'খুনি' জামাইয়ের চরম শাস্তির দাবি করেছেন।এদিন শাশুড়িকে খুনের দায়ে ধৃত জামাই প্রসেনজিৎ দলুইকে নিয়ে ঘটনার পুনর্নির্মাণ করল পুলিশ। শুক্রবার তাকে সঙ্গে নিয়ে কেসের তদন্তকারী আধিকারিক দিগ্বিজয় নন্দী সহ পুলিশকর্মীরা ওই গ্রামে আসেন।
পুলিশ কর্মীদের ও স্থানীয়দের সামনে প্রসেনজিৎ অভিনয় করে দেখায় খুনের দিন সে কেমন করে শ্বশুরবাড়িতে ঢোকে। তার বয়ান অনুযায়ী, প্রসেনজিতের শাশুড়ি লীলা আগরওয়াল তখন রান্নাবান্না করেছিলেন।পারিবারিক বিষয় নিয়ে শাশুড়ির সঙ্গে তার কিছুটা কথা কাটাকাটি হয় বলে জানায় প্রসেনজিৎ।
লীলা দেবী তখন বারান্দায় বসে ছিলেন। সেই সময় সুযোগ বুঝে একটি রুমাল দিয়ে পেছন থেকে তার গলায় ফাঁস লাগিয়ে দেয় প্রসেনজিৎ। লীলাদেবীর শরীরের স্পন্দন থেমে গেলে থেমে যায় প্রসেনজিৎ।এরপর চুপচাপ মৃতদেহটি বারান্দায় ফেলে রেখে পাঁচিল টপকে গ্রামের মোড়ে টোটোয় চেপে পালায় সে। ধৃতকে সঙ্গে নিয়ে পুলিশ খুনের কাজে ব্যবহৃত রুমালটিও উদ্ধার করেছে। উল্লেখ্য, নিহত মহিলা লীলা আগরওয়ালের বোনের বাড়ি মাহাতা গ্রামেই। এদিন মৃতার আত্মীয়রাও খুনি প্রসেনজিতের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।