পানাগড় ও লাউদোহা:- বুদবুদের ভরতপুরে বৌদ্ধ স্মৃতি সৌধ পরিদর্শনে এলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর উপদেষ্টা তথা প্রাক্তন মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন গোলসি ১নম্বর ব্লকের বিডিও দেবলীনা দাস,পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি অনুপ চ্যাটার্জি, চাকতেঁতুল গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সহ অনন্যা আধিকারিকরা।
দীর্ঘদিন ধরে এই এলাকাকে পর্যটন ক্ষেত্রে তুলে ধরার জন্য দাবী ছিলো এলাকাবাসীর । ইতিমধ্যেই প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ গোটা এলাকা অধিগ্ৰহণ করে সংরক্ষিত করেছে স্থাপত্যকে । এবার সেই এলাকাকে ঘিরেই যাতে পর্যটন কেন্দ্র গড়ে ওঠে সেই কারণেই মঙ্গলবার পরিদর্শন করেন আধিকারিকরা। কিভাবে সৌন্দর্যায়ণের জন্য পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা নিয়ে আধিকারিকদের সাথে প্রাথমিক পর্বের আলোচনাও করেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
অনুপ চ্যাটার্জি জানিয়েছেন ভরতপুরে তাঁর পৈতৃক বাড়ি এবং পরিবারের সদস্যরা রয়েছেন।কোলকাতা থেকে বালিজুরি যাওয়ার সময় তিনি পৈতৃক ভিটে তে এসে পরিবারের সদস্যদের সাথে সাক্ষাৎ করেন। গ্রামে তাদের প্রাচীন মন্দির গুলি ঘুরে দেখেন। এছাড়াও ভরতপুরের প্রাচীন বৌদ্ধ স্তুপ পরিদর্শন করেন।গ্রামের মানুষ ও গলসি ১নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির পক্ষ থেকে এক গুচ্ছ দাবি রাখা হয় আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে।
এদিন ঝটিকা সফরে মঙ্গলবার নিজের গ্রামে আসেন পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মুখ্য সচিব তথা মুখ্যমন্ত্রীর বর্তমান উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় । মঙ্গলবার দুপুরে তিনি পৌঁছান নিজের গ্রাম লাউদোহার বালিজুড়ি । দুপুর দেড়টা নাগাদ স্থানীয় কালিপুর হাইস্কুলে তিনি একটি প্রশাসনিক সভায় যোগ দেন । সেই সভায় আলাপন বাবু ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন মহকুমা শাসক, স্থানীয় বিডিও, পাণ্ডবেশ্বর এর বিধায়ক, জেলা পরিষদের কর্মদক্ষ সহ অন্যান্য প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও জনপ্রতিনিধিরা ।
দুপুর তিনটে নাগাদ প্রশাসনিক সভা শেষ করে তিনি জানান বালিজুরি গ্রামে নিজের বাড়ি । বাড়িতে আত্মীয় ও পরিচিতিদের সাথে কিছুক্ষণ সময় কাটান তিনি । তারপর গ্রামের বিভিন্ন মন্দির পরিদর্শন করেন তিনি । এরপর আলাপন বাবু তার মৃত মা-এর অস্থি বিসর্জন এর জন্য পৌঁছান স্থানীয় টুমনি নদীতে । নদীতে মৃত মায়ের অস্থি বিসর্জন এর কাজ সম্পূর্ণ করে তিনি পড়ি দেন কলকাতার উদ্দেশ্যে ।