ওয়েবডেস্ক:- সম্প্রতি মালদহের ভারত বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী এলাকা থেকে বিএসএফের গোয়েন্দাদের হাতে ধৃত চিনের নাগরিক হান জুনউইকে জেরা করে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছে গোয়েন্দাদের হাতে। হান জুনউই ও তার সঙ্গীরা অন্তত ১৩০০টি ভারতীয় সিমকার্ড অন্তর্বাসের মধ্যে চিনে পাচার করেছে।
যদিও কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা জালিয়াতির সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় ব্যক্তিদের মোবাইলের তথ্য হ্যাকের বিষয়টি নিয়েও ভাবতে শুরু করেছেন।বিশেষ করে সেনাবাহিনী ও ইন্দো টিবেটিয়ান বর্ডার পুলিশ, বিএসএফ বা এসএসবির মতো সীমান্তরক্ষী বাহিনীর মোবাইল হ্যাক করে চিনা গোয়েন্দা সংস্থা গোয়াংবু এই একই পদ্ধতিতে তথ্য চুরির চেষ্টা করেছে, এমন সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।জাল নথিপত্র ব্যবহার করে ওই সিমকার্ডগুলি সংগ্রহ করেছে চিনারা।
সাধারণভাবে বহু চিনা সংস্থার মোবাইল ছেয়ে গিয়েছে বাজারে। বহু মানুষের হাতে হাতে ঘুরছে চিনা সংস্থার মোবাইল। ওই মোবাইলগুলিই প্রথম টার্গেট চিনা হ্যাকারদের। এছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ব্যাংকের লিংক বা গুরুত্বপূর্ণ তথ্যের লিংক পাঠানোর নাম করেও জালিয়াতি করছে হ্যাকাররা।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দারাও এর আগেও দেখেছেন যে, চিন থেকে জালিয়াতির শিকার হয়েছেন এই শহরের বাসিন্দারা । বেজিং, হেবেই বা কুনমিং থেকেই অতি সহজে সল্টলেক, কলকাতা বা হাওড়ার বাসিন্দাদের কাছ থেকে টাকা তুলে নেওয়া হয়েছে ।
টাকা তোলা হয়েছে দিল্লি, মুম্বই, বেঙ্গালুরু বা হায়দরাবাদের মতো বড় শহরের বাসিন্দাদেরও। বেশ কিছু ব্যাংক জালিয়াতি সম্পর্কে সন্দিহান ছিলেন গোয়েন্দারা। এখন হান জুনউইকে জেরা করে সেসম্পর্কে তথ্য সংগ্রহের চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।