সোমনাথ মুখার্জী, পাণ্ডবেশ্বর:- কথায় আছে জগৎ শ্রেষ্ঠ এক জাতি আছে তা হলো মানুষ জাতি। তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না পাণ্ডবেশ্বর এর এমনই এক চিত্র দেখে।প্রায় দিন সাতেক থেকে এক অজানা ভবঘুরে কে দেখা যাচ্ছে পাণ্ডবেশ্বরের বিভিন্ন জায়গায়। আজ সকালে সেই ভবঘুরে আরো পাঁচটা দিনের মতন ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়েছিল পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায়। হঠাৎই সেই ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হওয়া ভবঘুরেকে দেখতে পাই স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা পাণ্ডবেশ্বর আশার আলো এক সমাজকর্মী। বিষয়টি তাদের সংগঠনের সবাইকে জানায়।
তবে তারা কেউ পিছুপা হয়নি সঙ্গে সঙ্গে তারা চলে আসে ওই এলাকায়। ক্ষুধা-তৃষ্ণায় কাতর হওয়া ভবঘুরেকে তারা প্রথমে পেট ভরে খাবার খাওয়ায়। তারপর তাকে নাম জিজ্ঞাসা করা হয় কিন্তু কোনমতেই সে তার নাম ঠিকমত বলতে পারেনা । মাথায় বড় বড় চুল, দীর্ঘদিন তার যেন স্নান করা হয়নি তাই জট লেগেছে মাথায়। পরনে ছিল নোংরা কাপড়। শুধু খাওয়ানোই নয় পাণ্ডবেশ্বর আশার আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সংগঠনের সমস্ত সদস্যরা মিলে তার মাথায় ঢাকা বড় বড় চুল আর এক মুখ দাঁড়ি কেটে ফেলে স্নান করানো হয় তাকে। পরনে ছিল তার নোংরা কাপড় জামা। সেই কাপড় জামা পাল্টে এক নতুন প্যান্ট জামা পরিয়ে দেয় ঐ ভবঘুরেকে। এখানেই শেষ নয় স্থানীয় চিকিৎসালয় তাকে চিকিৎসা করানো হয় স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার আশার আলোর পক্ষ থেকে।
এরপর ওই ভবঘুরের জন্য পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্থায়ী থাকার জায়গা করে দেয় বলে জানান সংস্থার সভাপতি শুভজিৎ চ্যাটার্জী। যতদিন না পর্যন্ত তার নাম পরিচয় না জানা যাবে ততদিন তারা পাণ্ডবেশ্বর এরিয়া মোড় সংলগ্ন এলাকায় একটি অস্থায়ী জায়গায় থাকার ব্যবস্থা করা হবে এবং তার খাওয়া-দাওয়ার ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান সংস্থার সদস্যরা। ভবঘুরেটি তার সঠিক নাম ও পরিচয় না দিতে পারায় তারা সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করে , যদি কেউ এই ভবঘুরে টা কে চেনেন তো তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বলে জানান তারা।
করোনা অতিমারির সময় পাণ্ডবেশ্বর এলাকার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা গুলি মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছে। তবে পাণ্ডবেশ্বর আশার আলো স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করোনা অতিমারির সময় এক অসহায় ভবঘুরের পাশে দাঁড়ানো কে কুর্নিশ জানিয়েছে এলাকার মানুষ।