ভোটের ফল ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই জেলার বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয়েছে। কোথাও তৃণমূল বিজেপি আবার কোথাও শাসকদলের গোষ্ঠী কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। বর্ধমান ১ নম্বর ব্লকের নেড়োদিঘী এলাকায় ভোটের ফলাফল বের হওয়ার পর থেকেই অশান্তি চলছে। বৃহস্পতিবার সকালে নেড়োদিঘী এলাকার কমল সেখ দোকান খুলতে যাচ্ছিলেন। তিনি তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান গোষ্ঠীর লোক হিসাবে পরিচিত। তাঁকে এদিন জনা দশেক লোকজন নেড়োদিঘী মসজিদতলা এলাকায় ব্যাপক মারধর করে। শ্যামল সেখকে নামে এক ব্যক্তিকেও মারধর করা হয়। কমলের বাইক ফেলে দেওয়া হয়। বাঁশ লাঠি দিয়ে ব্যাপক মারধোর করা হয়। সেখ কমলের মাথা ফেটে যায়। ডান পা মেরে ভেঙ্গে দেওয়া হয়। তাঁর মাথায় আটটি সেলাই পড়েছে। আহত শ্যামল সেখের হাতে আঘাত লেগেছে। এদিন হাসপাতালের বেডে শুয়ে কমল সেখ জানান, নির্বাচনের তাদের এলাকা থেকে তৃণমূল ভালো লিড পেয়েছে। তবুও, তাদের টার্গেট করা হচ্ছে। এরআগে তাঁর বাড়িতেও হামলা চালানো হয়।অন্যদিকে, নেড়োদিঘী মসজিদতলায় একটি বাড়িতে ঢুকে মহিলাদের মারধর করার অভিযোগ উঠছে। বাড়ির মহিলা রেহেনা বেগম এদিন বর্ধমান থানায় লিখিত অভিযোগ করে বলেন, সকলে কাজে বেড়িয়ে গিয়েছিলাম। বাড়িতে তাঁর মেয়ে ১২দিনের শিশুকে নিয়ে ছিল। সেই সময় কয়েকজন বাড়িতে ঢুকে তাঁর মেয়েকে মারধর করে। রোহেনা বেগমের অভিযোগ এলাকার তৃণমূল নেতা শেখ জামালের নেতৃত্বে হামলা করা হয়।শেখ জামাল ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি কাকলী তার অনুগামী।
বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতি দলের নামে বদনাম করার জন্য এই কাণ্ড করছে।
বাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। যদিও তৃণমূল নেতা নুরুল হাসান গোষ্ঠীকোন্দলের কথা মানতে চাননি। তিনি বলেন, কিছু দুষ্কৃতি দলের নামে বদনাম করার জন্য এই কাণ্ড করছে।