বাবাকে বাঁচাতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের লাঠির আঘাতে মৃত্যু হল এক যুবকের। মৃত যুবকের নাম বলরাম মাঝি(২২), বাড়ি পূর্ব বর্ধমান জেলার কেতুগ্রাম থানার শ্রীপুর গ্রামে।মৃত বলরাম মাঝির মা টুম্পা মাঝি অভিযোগ করেন, গত মঙ্গলবার সকালের দিকে তৃণমূলের একদল যুবক হঠাৎই গ্রামে ঢুকে আক্রমণ চালায়। তারা বেশ কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে। সেই সময় টুম্পা দেবীর স্বামী মৃত্যুঞ্জয় মাঝিকে তৃণমূল কর্মীরা মারধর করতে থাকে। সেই সময় বাবাকে বাঁচাতে গেলে তৃণমূল কর্মীরা বলরাম মাঝির মাথায় বাঁশের আঘাত করে। কিন্তু হঠাৎ কেন আক্রমণ? এবিষয়ে টুম্পা দেবী জানান, সদলবলে ওড়া এসে বলছিল এরা সব বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। এলাকার তৃণমূল নেতা স্বপন মোল্লা তার ছেলেকে মেরেছে বলে অভিযোগ করেন টুম্পা দেবী। স্বপন মোল্লার নেতৃত্বেই এলাকাজুড়ে সন্ত্রাস চালিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বলেও জানান তিনি। এমনকি আহত ছেলেকে ঘরের মধ্যেই বন্ধ করে রাখতে হয়। ডাক্তার দেখাতেও নিয়ে যেতে দেয়নি হামলাকারীরা। পাশাপাশি টুম্পা দেবী সহ এলাকার বেশ কয়েকটি বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়।
গত বৃহস্পতিবার বলরাম মাঝিকে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে গেলে তাকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে বর্ধমান শহরের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয়। সেখানেই গতকাল রাতে মৃত্যু হয় বলরাম মাঝির। বৃহস্পতিবার বর্ধমান পুলিশ মর্গে বলরাম মাঝির মৃতদেহ ময়না তদন্ত করা হয়। একমাত্র ছেলের মৃত্যুতে দিশেহারা পরিবার। তারা চাইছেন পুলিশ উপযুক্ত তদন্ত করে দোষীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুক।