পূর্ববর্ধমানের আউশগ্রামের কাঁকোরা আদিবাসীপাড়ার বেশকয়েকটি ঘরছাড়া বিজেপি কর্মীদের পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিলেন আউশগ্রাম ২ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যকরী সভাপতি শেখ আব্দুল লালন। রাজ্যের বিভিন্ন এলাকায় ভোট পরবর্তী হিংসার ঘটনা ঘটছে।রাজনৈতিক সন্ত্রাসে আউশগ্রামেও তার ব্যতিক্রম হয়নি। বেলাগাম হিংসার মধ্যেও মানবিক ছবি দেখা গেল আউশগ্রামের কাঁকোরা গ্রামে।
সোমবার কাঁকোরা গ্রামে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মীরা বিজয় উৎসব পালন করার সময় আদিবাসীপাড়ার বিজেপি তৃণমূল দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে।সংঘর্ষে আহত হন পাঁচজন তৃণমূল কর্মী।ভাঙচুর করা হয় বিজেপি কর্মীদের ঘরবাড়ি। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওই ঘটনার পর থেকেই বিজেপি সমর্থক পরিবারের পুরুষরা গ্রামছাড়া। বর্তমানে এই পরিবারগুলির মহিলা ও শিশুদের খুব কষ্টে দিন কাটছে। তারা গ্রাম ছেড়ে বের হতেও পারছেন না বলে অভিযোগ।গ্রামে এখন পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।এলাকার মানুষের কষ্টের কথা শুনে তৃণমূল নেতা আবদুল লালন চাল, ডাল, তেল সহ বিভিন্ন খাদ্যসামগ্রী নিয়ে কাঁকোরা আদিবাসীপাড়ায় এসে প্রায় ২৫ টি পরিবারের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দেন। আবদুল লালন বলেন," ওদিন একটা সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছিল। আদিবাসীপাড়ায় ঘরবাড়ি কিছু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।খাদ্যসামগ্রী দেওয়া হয়েছে। পোশাক কিনে পাঠিয়ে দেবো।পাশাপাশি পঞ্চায়েতের উদ্যোগে ঘরবাড়ির মেরামতের ব্যবস্থা ও করে দেওয়া হবে।"
গণ্ডগোলের দিন কাঁকোরা আদিবাসীপাড়ায় ঘরবাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি টিউবওয়েল ও পানীয়জলের সাবমার্সিবল পাম্প ভাঙচুর করা হয়। সেগুলিও মেরামত করে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন আবদুল লালন।পাশাপাশি সংঘর্ষে আহত পাঁচ তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে গিয়ে তাঁদের খোঁজ খবর নেন লালানবাবু ও প্রত্যেক পরিবারের হাতে ফল দিয়ে আসেন তিনি। তাঁর সঙ্গে ছিলেন দেবশালা পঞ্চায়েতের প্রধান শ্যমল বক্সি ও অঞ্চল তৃণমূল নেতৃত্ব।