Type Here to Get Search Results !

বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ মর্গে পড়ে,মৃতদেহ নেওয়ার কেউ নেই



নেতারা আত্মগোপন করেছেন। রাজনৈতিক হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীর মায়ের দেহ মর্গে পড়ে আছে। মৃতদেহ নেওয়ার কেউ নেই। ভোটে ভরাডুবির পর ভয়ে ঘরে ঢুকে পড়েছেন বিজেপি নেতারা।ভয় এতটাই ,যে রাজনৈতিক হিংসায় পূর্ব বর্ধমানের জামালপুরের নবগ্রামে দলের নেতার মা মারা যাবার পরেও দেখা নেই কোনও বিজেপি নেতার।গ্রেপ্তারির ভয়ে মৃতার ছেলে সহ পরিবারের অন্যরাও গা ঢাকা দিয়েছেন। মঙ্গলবার ময়নাতদন্তের পর নিহত কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃতদেহ তাই বর্ধমান পুলিশ মর্গ থেকে আনতে যাওয়ারও কেউ নেই । বর্ধমান হাসপাতালের পুলিশ মর্গেই পড়ে আছে নবগ্রামের বিজেপি কর্মী আশিষ ক্ষেত্রপালের মায়ের মৃতদেহ। 
ভোট পরবর্তী রাজনৈতিক হিংসায় গত সোমবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জামালপুরের নবগ্রামের ষষ্ঠিতলা এলাকা।তৃণমূল  বিজেপির সংঘর্ষে দুই তৃণমূল কর্মী শাজাহান শা ওরফে সাজু (৩০)এবং বিভাস বাগের (২৭)  মৃত্যু হয় ।ওই সংঘর্ষে মৃত্যু হয়  নবগ্রামের বিজেপি শক্তি প্রধান আশিষ ক্ষেত্রপালের মা কাকলি ক্ষেত্রপালের (৪৭)।এই ঘটনার পরেই পুলিশ ,র‍্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার পাশাপাশি ধরপাকড় অভিযানে নামে ।তা দেখেই নিহত কাকলির ছেলে সহ এলাকার অন্য বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা গা ঢাকা দেয় ।তারই মধ্যে দুই পক্ষের দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বিজেপির ১০ জন ও ১ তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করে  মঙ্গলবার বর্ধমান আদালতে পেশ করে । 
কাকলি ক্ষেত্রপালের মৃতদেহ সোমবার জামালপুর হাসপাতালে দীর্ঘক্ষণ পড়ে থাকে ।কিন্তু তাঁর পরিবারের কেউ হাসপাতালে  ছিলেন না ।পরে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। জামালপুর থানার পুলিশ মঙ্গলবার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বর্ধমান হাসপাতাল পুলিশ মর্গে পাঠায়। কিন্তু না হাসপাতাল ,না মর্গ , না থানা ,না ঘটনাস্থল কোথাও দেখা মেলেনি বিজেপি নেতাদের ।  এসডিপিও (বর্ধমান দক্ষিণ ) আমিনুল ইসলাম খানের সঙ্গে  যোগাযোগ করা হলে তিনিও ঘটনা সত্য বলে জানিয়েছেন । 
জামালপুর বিধানসভার বিজেপি আহ্বায়ক জিতেন ডকাল  বলেন ,’ তিনি জামালপুর থানার ওসির সঙ্গে এই বিষয়ে  আলোচনা করেছেন। কিভাবে মৃতদেহ নিয়ে গিয়ে সৎকার করা হবে সেই বিষয়ে কথা চলছে।তিনি অভিযোগ করেন ভোটের ফল ঘোষণার পর থেকে বেলাগাম সন্ত্রাস চলছে। বিজেপি কর্মী সমর্থকদের বাড়ি ঘর ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই বিষয়েও ওসির সঙ্গে আলোচনা হয়। এই বিষয়ে জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, সন্ত্রাস তো বিজেপিই করছে।বিভিন্ন জায়গায় আমাদের কর্মী সমর্থকরা আক্রান্ত হচ্ছে।আমদের কর্মীরা খুন হয়েছে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad