গত ৩০ এপ্রিল রাতে এক ব্যবসায়ীকে ছুরি চালায় দুস্কৃতিরা। ঘটনাটি ঘটে বর্ধমান শহরের টিকরহাট মালির বাগানে।গুরুতর জখম হন ব্যবসায়ী লিটন মজুমদার।তাঁকে ভর্তি করা হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
লিটন মজুমদারের বর্ধমানের কল্যাণী মার্কেটে ওষুধের পাইকারী ব্যবসা আছে। ঘটনার তিন সপ্তাহের পর তিন অভিযুক্তকে বর্ধমান থানার পুলিশ গ্রেপ্তার করে। ধৃতদের নাম শেখ আজাদ,শেখ মিরাজ ও শেখ সাবির।তার মধ্যে শেখ আজাদের বাড়ি কল্যাণী মার্কেটর ঠিক পিছনে কাঁটাপুকুরে।আর বাকী দু'জন শেখ মিরাজ ও শেখ সাবিরের বাড়ি রায়নার মূলকাটিতে।
ওইদিন রাতে দোকান বন্ধ করে বাইক নিয়ে বাড়ির ফেরার সময় একেবারে বাড়ির সামনে ওষুধ ব্যবসায়ী লিটন মজুমদারকে তিনজন দুস্কৃতি ঘিরে ধরে। তাঁর কাছে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। লিটন মজুমদার বাধা দিলে তাঁর পেটে ছুরি চালিয়ে ব্যাগ নিয়ে দুস্কৃতিরা চম্পট দেয়। ঘটনার খবর পেয়ে বর্ধমান থানার পুলিশ যায়।
পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমে এলাকার সিসিটিভি ফুটেজকে গুরুত্ব দিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে। পাশাপাশি বেশ কয়েকজন সন্দেহ ভাজনের গতিবিধি পুলিশ লক্ষ্য রাখে।জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কল্যাণ সিংহরায় বলেন,তদন্তে প্রথমেই নাম উঠে আসে শেখ আজাদের। তাকে পাকড়াও করে জিজ্ঞাসাবাদে বাকিদের হদিস মেলে।
লিটন মজুমদার কে পুলিশকে সেই সময়ে জানিয়ে ছিল তার ব্যাগে লক্ষ্যাধিক টাকা ছিল। তিনটি মোবাইল ও কিছু কাগজপত্র ছিল।পুলিশ ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে ছিনতাই হওয়া জিনিসপত্র ও টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করছে।