বিঘের পর বিঘে কাটা ধান জলে ভাসছে।বুধবার দুপুরের পর থেকে একটানা বৃষ্টিতে এমনই অবস্থা শস্যগোলা পূর্ব বর্ধমান জেলায়।
জেলা কৃষি আধিকারিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন,১ লক্ষ ৭১ হাজার ৬৯৫ হাজার হেক্টর জমিতে এবার বোরোধানের চাষ হয়েছে জেলায়।তার মধ্যে ডিভিসির সেচ খালের জলে চাষ হয়েছে ১ লক্ষ হাজার হেক্টরের মত জমিতে। বাকী চাষ হয়েছে নলকূপের জলে। এমনিতেই জমি ভিজে থাকায় ধানকাটা মেশিন হারভেস্টার নামানো যাচ্ছে না। এর মধ্যে ফের বৃষ্টিতে মাথায় হাত শস্যগেলা বোরোচাষীদের।
খণ্ডঘোষ থেকে পূর্বস্থলী। কিংবা মেমারি থেকে আউশগ্রাম সব জায়গাতেই জোরকদমে ধান কাটার কাজ শুরু হয়েছে।জেলা কৃষি আধিকারিক আরো বলেন,এখন পর্যন্ত মাত্র ৩০ শতাংশ জমির ধান মাঠ থেকে চাষীরা তুলতে পেরেছেন। বাকী ধান সবই মাঠে পড়ে আছে।
এমনিতেই কোভিডের জন্য মানুষজন বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। পরিবহন ব্যবস্থা আংশিক লকডাউনের জন্য নড়বড়ে হয়ে পড়েছে। বাইরে থেকে শ্রমিকরা ধান কাটতে আসতে পারছে না।ফলে চাষীরা তাড়াতাড়ি ধান মাঠ থেকে তুলতে পারছেন না।
আবার অন্যদিকে, প্রকৃতির খামখেয়ালি মেজাজে চরম সংকটে বোরোচাষীরা।জমিতে কাটা ধান জলে ডুবে যাওয়ায় ব্যাপক সমস্যার মধ্যে পড়েছেন তাঁরা।ধানে কল বেড়িয়ে যাওয়ার পাশাপাশি, সেই সঙ্গে ধান লাল হয়ে যাবে।ধানের রং খারাপ হয়েগেলে বিক্রি হবে না। বা কম দামে বিক্রি হবে।পাশাপাশি অনেকেই মহাজনের কাছে চড়া সুদে ঋণ নিয়ে চাষ করেছেন এই মুহূর্তে ধান বিক্রি না হলে ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়বেন কৃষকরা।