নীলেশ দাস,আসানসোল:- প্রতারনার অভিনব কৌশলে করোনা পরিস্থিতিতে প্রতারণা করছে প্রতারকরা। ইতিপূর্বে বিভিন্ন কৌশলে জনগণকে প্রতারিত করার খবর শুনেছেন, কিন্তু ভয়ঙ্কর করোনা পরিস্থিতিতে জনগণকে প্রতারিত করা সম্ভব, তা আজকের ঘটনায় রীতিমতো বিব্রত সোসাল মিডিয়ায় যারা ঘোরাফেরা করে।
অক্সিজেন সরবরাহ করার নামে সোসাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন দিয়ে জনগণকে প্রতারিত করার অভিনব কৌশল এনেছে প্রতারকরা, বিজ্ঞাপন দেখে প্রভাবিত হয়ে পয়সা পাঠিয়ে অক্সিজেন তো দূরের কথা পয়সা ফেরৎ পর্যন্ত না পাবার সংখ্যা প্রচুর।
সম্প্রতি কুলটির এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা অক্সিজেনের জন্য প্রায় ষাট হাজার টাকা পাঠিয়ে প্রতারিত হবার পর ঘটনা প্রকাশ্যে আসে। কুলটি বাবু পাড়া এলাকায় দিল্লী এ্যাসোসিয়সন অফ ভলেন্টিয়ার ব্লাড ডোনার্স নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা করোনা পরিস্থিতিতে করোনা আক্রান্ত রুগীদের ওষুধ, খাবার সহ বিভিন্ন পরিষেবা দিয়ে আসছেন।
সংস্থার সম্পাদক অঙ্কিতা সরকার সোসাল মিডিয়ায় অক্সিজেন সরবরাহ করা সংস্থার বিজ্ঞাপন দেখে ১১ মে পাঁচটা অক্সিজেন সিলিন্ডারের জন্য ৫৭,২৩০ টাকা পাঠালেও শুক্রবার পর্যন্ত তার কাছে সিলিন্ডার না আসাতে কোম্পানির সাথে যোগাযোগ করলে নানা অছিলায় আশ্বাসবাণী শোনাতে থাকে।স্বেচ্ছাসেবীসংস্থা কুলটি থানা এবং পুলিশ প্রশাসনের সাইবার ক্রাইম দপ্তরে অভিযোগ করার পর অবশেষে সংবাদমাধ্যমের দ্বারস্থ হন।
স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সম্পাদক অঙ্কিতা সরকার জানান তারা কুলটি এলাকার করোনা আক্রান্ত রুগীর পরিবারকে সাহায্য করে আসছেন , সম্প্রতি কুলটির এক সংস্থা তাদের কাছে অক্সিজেন সিলিন্ডারের সাহায্য চাওয়াতে তিনি কলকাতার অক্সিকেয়ার নামক এক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করে পাঁচটা সিলিন্ডারের জন্য তাদের কথা অনুযায়ী অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং কীট সহ ব্যাংকের মাধ্যমে টাকা পাঠানো হয়।
১২ তারিখ সিলিন্ডার না পেয়ে অক্সিকেয়ার নামক সংস্থার সাথে যোগাযোগ করা হলে তাদের অসংলগ্ন কথা শুনে কুলটি থানায় ও সাইবার ক্রাইম দপ্তরে অভিযোগ জমা করেন অঙ্কিতা সরকার। ঘটনার তদন্তে জানা গেছে কোম্পানির ফোন নং কলকাতার হলেও টাওয়ার লোকেশন পাটনা দেখানো হচ্ছে, পুলিশ ও সাইবার ক্রাইম দপ্তর যৌতভাবে তদন্তে নেমেছে বলে জানা গেছে।