নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর পূর্ব বর্ধমানের যে সকল জায়গায় তপশিলি সম্প্রদায়ের উপর অত্যাচার হয়েছে সেই জায়গাগুলি সরজমিনে ক্ষতিয়ে দেখলেন জাতীয় তপশিলি কমিশনের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের জামালপুর ব্লকের নবগ্রাম ও বর্ধমান উত্তর বিধানসভার মিলিকপাড়ায় আসেন তারা। কথা বলেন অত্যাচারিত মানুষদের সাথে।
ভোট পরবর্তী হিংসায় জামালপুরের নবগ্রামে তপশিলি সম্প্রদায়ের মানুষজনের বাড়িতে হামলার অভিযোগ ওঠে, সংঘর্ষে এক মহিলার মৃত্যুও হয়।পাশাপাশি বর্ধমানের মিলিকপাড়ায় ক্লাব ঘর, মুড়ি কারখানা সহ বারোটি দোকান ভাঙচুর করা হয়। ভয়ে আতঙ্কে এখন গ্রাম ছাড়া গ্রামের বেশ কিছু পুরুষ।
আজ সেই সকল এলাকার পীড়িত মানুষদের সাথে কথা বলেন কমিশনের সদস্যরা। আশ্বাস দেন তাদের ক্ষতিপূরণের ব্যবস্থা করার। সেদিন যাদের দোকান ভাঙচুর হয়েছিল তাদের মধ্যে একজন রাখি মল্লিক জানালেন, সেদিন থেকেই আতঙ্কে আছি। আমার দোকান ভাঙচুর করেছে পাশের গ্রামের লোকেরা। ঘটনার পর তিনদিন না খেয়ে ছিলাম। আজ কমিশনের সদস্যরা এসে কিছু ক্ষতিপূরণের আস্বাস দিলেন, খানিকটা আস্বাস্ত হলাম।
আরও এক গ্রামবাসী অপু মল্লিক বলেন, সেদিন পাশের গ্রামের দুস্কৃতিরা এসে ভাঙচুর করার পর আতঙ্কে ছিলাম। ভয়ে পুলিশকেও ফোন করতে পারিনি। আজ কমিশনের তরফে আমাদের ক্ষতিপূরণের আশ্বাস দেওয়ায় খানিকটা আশার আলো দেখছি। এরপর জেলা প্রসাশনের সাথে এবিষয়ে বৈঠক করবেন বলে জানান কমিটির চেয়ারম্যান বিজয় সাপলা।