Type Here to Get Search Results !

ভোট পরবর্তী হিংসায় বেলকাশ গ্রামের ক্ষতিগ্রস্তদের সাথে দেখা করলেন পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার

ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল পূর্ব বর্ধমানের বেশ কিছু এলাকা। এর মধ্যে বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের মিলিকপাড়ায় আজ জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধিরা পরিদর্শনে যান। তারা এলাকার বাসিন্দাদের আশ্বস্ত করেন ক্ষতিগ্রস্ত দোকানদারদের সাধ্যমতো ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে প্রশাসনের উদ্যোগে। মিলিকপাড়ায় ১০ টি দোকান ও একটি মুড়ির কারখানা ভেঙে দেওয়া হয় সেদিন।

ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছিল বর্ধমান উত্তর বিধানসভা কেন্দ্রের বেলকাশ অঞ্চল।  বেলকাশ অঞ্চলের মিলিকপাড়া এলাকায়  ভোটের ফল ঘোষণার রাত থেকে প্রায় ২০০ জন তৃনমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাণ্ডব চালিয়ে  এলাকার প্রায় দশটি দোকান ঘর ভেঙে দিয়েছে, মুড়ি মিল ভেঙে গুঁড়িয়ে দিয়েছে। ভয়ে এলাকাছাড়া হয় গ্রামের বিজেপি কর্মীরা। 

গ্রামবাসীরা অভিযোগ করেছিলেন;  নির্বাচনের ফল বেরানোর পর থেকেই পাশের গ্রাম ধরমপুর ও বোধপুরের প্রায় ২০০ তৃণমূল কর্মী দফায় দফায় মিলিকপাড়া এলাকায় আক্রমণ চালায় বলে অভিযোগ ।রাতে ও পরদিন সকালে  তারা সদলবলে এসে আবারও এলাকায় ভাঙচুর চালায় বলে অভিযোগ। একটি মুড়ি মিল সহ দশটি দোকানে ভাঙচুর চালানো হয় বলে অভিযোগ। একটি মুড়ির মিল ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয়। সব হারিয়ে অথৈ জলে পড়েন ওই দোকান ও কারখানার মানুষেরা।

আজ পূর্ব বর্ধমানের জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা ; পুলিশসুপার কামনাশীষ সেন; বর্ধমান থানার আই সি পিন্টু সাহা সহ জেলা প্রশাসনের কর্তারা এলাকায় যান। 

ক্ষতিগ্রস্ত মুড়ির কারখানার মালিকের পরিবারের সদস্য অপু মল্লিক জানান; সব ভেঙে দিয়ে গিয়েছেল সেদিন। আজ ওঁরা এসে বিভিন্ন প্রকল্পের মাধ্যমে আমাদের কিছুটা ক্ষতিপূরণ দেবার কথা বলে গেছেন।

বেলকাশ গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য ও মিলিকপাড়ার বাসিন্দা সহদেব মল্লিক জানান; আনুমানিক ১৫ লক্ষ টাকার বেশি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে তার অনুমান। আগামীকাল এলাকার প্রাথমিক স্কুলে একটি সভা ডাকা হয়েছে। সেখানেই বিস্তারিত আলোচনা হবে ক্ষতিপূরণ নিয়ে।এই সিদ্ধান্তে কিছুটা হলেও আশ্বস্ত এলাকার সর্বস্ব হারানো মানুষেরা।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad