ভোট পরবর্তী হিংসায় উত্তপ্ত পূর্ব বর্ধমানের বিভিন্ন এলাকা।বিভিন্ন এলাকা থেকে তৃণমূল ও বিজেপি কংগ্রেসের সংঘাত চলছে। গতকাল এই হিংসার বলি হয়েছেন চারজন।গতকাল জামালপুরে নবগ্রাম এলাকায় রাজনৈতিক হিংসার তিনজনের মৃত্যু হয়।পাশাপাশি বেশ কয়েকজন জখম হয়।এই ঘটনার পর গতকাল রাতে জামালপুর থানার পুলিশ মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে। মঙ্গলবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়।ধৃত ১২ জনের মধ্যে ৭ জন পুরুষ ও ৫ জন মহিলা আছে।এলাকায় পুলিশ, র্যাফ ও কেন্দ্র বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। টহলদারি চলছে নবগ্রামে।
এছাড়াও রায়নায় সংঘর্ষের জেরে সংঘর্ষে তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী গণেশ মালিক নিহত হন।এই ঘটনার জেরে ৩ জন কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
জামালপুরে সংঘর্ষে মৃত তিন জন হলেন কাকলি ক্ষেত্রপাল (৪৭),শাজাহান শা ওরফে সাজু(৩৮) ও বিভাষ বাগ (৩০)।
অন্যদিকে, রায়নায় মৃত গণেশ মালিকের বাড়ি রায়না থানার সমসপুর গ্রামে । মৃতদের মধ্যে কাকলি ও বিভাষের বাড়ি জামালপুরের নবগ্রামের ষষ্ঠিতলা ও উড়িষ্যা পাড়ায় ।আর সাজু শেখের বাড়ি জামালপুরেরভেড়িলি গ্রামে। গুরুতর জখম মানু ক্ষেত্রপাল ওরফে রূপো এবং অনিল ক্ষেত্রপালকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।অপর জখম মিঠু রহমানের চিকিৎসা হয় জামালপুর ব্লক হাসপাতালে। এই ঘটনার জেরে উত্তপ্ত জামালপুর ।উত্তেজনা থাকায় এলাকায় মোতায়েন রাখা হয়েছে বিশাল পুলিশ, র্যাফ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী ।
জখম তৃণমূল কর্মী মিঠু রহমান বলেন, রাস্তায় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের ঘিরে ধরে মারধর করে।
জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র প্রসেনজিৎ দাস বলেন, দলীয় কর্মী সমর্থকরা নবগ্রাম দিয়ে যাওয়ার সময় বিজেপি কর্মী সমর্থকরা তাদের আক্রমণ করে।দু'জন কর্মী মারা গেছে। তাঁর দাবী সাজু সেখ ও বিভাষ বাগ দলের সক্রিয় কর্মী।এছাড়া বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থক হাসপাতালে ভর্তি আছে। অন্যদিকে মৃত কাকলী ক্ষেত্রপালের ছেলে বিজেপি নেতা আশীষ ক্ষেত্রপালের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন তাদের বাড়িতে হামলা চালায় তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী সমর্থকরা। তার মায়ের মাথায় ঢাঙ্গির কোপ মারা হয়।জখম হয় তার বাবা।অন্যদিকে রায়নার নিহত গণেশ মালিকের পুত্র জানান সবাই একসাথে বলে ফল শুনতে শুনতে উত্তেজনা ও সংঘর্ষ বাধে।ছাড়াতে গিয়ে আক্রান্ত হন তার বাবা।রাজনৈতিক হিংসা নিয়ে সক্রিয় হয়েছে প্রশাসন। তার ফলেই মোট গ্রেফতার ১৫ জন।