কালিপুজোর দিন ভাতার থানার এরুয়ার উদয়াচল ক্লাব উইমেন স্পোর্টস আ্যাকাডেমির পাঁচ মহিলা ফুটবলারকে সিভিক ভলেন্টিয়ার পদে নিয়োগ করা হল। রাজ্যসরকারের পক্ষ থেকে দিনকয়েক আগে তাদের হাতে সিভিক ভলেন্টিয়ারের নিয়োগপত্র তুলে দিয়েছিলেন জেলা পুলিশসুপার ভাস্কর মুখার্জি। এদিন ভাতার থানার ভারপ্রাপ্ত অফিসার প্রণব ব্যানার্জী তাদের কাজে যোগদান করান। শনিবার কালীপুজোর দিনে ভাতার থানায় এসে ওই পাঁচ কন্যা চাকরিতে যোগ দিলেন। তাদের নাম ছন্দা মাঝি, নুরজাহান খাতুন, সোমা মণ্ডল, সাবিনা খাতুন এবং মন্দিরা বাগ। এই পাঁচ কন্যার চাকরিতে যোগদানে গর্বিত উদয়াচল ক্লাবের সদস্যরা সহ গোটা এলাকার বাসিন্দারা।
এরুয়ার উদয়াচল ক্লাবের কর্মকর্তা তথা ভাতার পঞ্চায়েত সমিতির ভূমি কর্মাধ্যক্ষ মানগোবিন্দ অধিকারী বলেন, গতবছর বর্ধমানে স্পন্দন কমপ্লেক্সে রাঙামাটি উৎসবের সময় জেলাস্তরের ফুটবল প্রতিযোগিতায় আমাদের ভাতারের মহিলা ফুটবল দল রানার্স হয়েছিল। তখন মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ কথা দিয়েছিলেন বিজিত দলের সকল মেয়ে মিলে মোট ১৫ জনকে সিভিক ভলেন্টিয়ারের চাকরি দেওয়া হবে। তবে এখনও সবার ১৮ বছর বয়স পূর্ণ হয়নি। যাদের হয়েছে তাদের মধ্যে ইচ্ছুকদের ৫ জন আজ চাকরিতে যোগ দিল।আমাদের মেয়েরা এর আগেও জেলা ও রাজ্যস্তরের ফুটবলে অসাধারণ সাফল্য দেখিয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য যেসময় উদয়াচল ক্লাবের পক্ষ থেকে মেয়েদের ফুটবল কোচিং ক্যাম্প চালু করা হয় তখন এটাই ছিল জেলার একমাত্র মহিলা ফুটবল কোচিং ক্যাম্প। মানগোবিন্দবাবু বলেন, ছোটছোট মেয়েরা খেলাধূলা করতে আসার সময় অনেকের বাড়ি থেকে আপত্তি করেছিল।তবুও আমরা বুঝিয়ে মেয়েদের খেলার সুযোগ করে দিয়েছি,তাদের মাঠে আসার ব্যবস্থা করেছি।এদিন তার ফল মিললো। মানগোবিন্দবাবু ও ওই মহিলা ফুটবল দলের ম্যানেজার কিশোর মুখোপাধ্যায় পাঁচজন কিশোরীকে সঙ্গে করে নিয়ে যান ভাতার থানায়।দীপাবলির দিনে পাঁচ কন্যার ঘরে খুশির আলোতে উজ্জ্বল হল ফুটবল,মহিলা ফুটবল।