সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- স্ত্রীকে নার্সের চাকরি করতে মানা।স্বামীর এই দাবি না মানায় দু'মাসের শিশুপুত্র-সহ মারধর করে স্ত্রীকে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল স্বামী রাহুল মিশ্রর বিরুদ্ধে। অভিযোগ করলে পূর্ববর্ধমানের শক্তিগড় থানার পুলিশ স্বামী রাহুল মিশ্রকে গ্রেপ্তার করে।শক্তিগড় থানার জোতরাম এলাকার ঘটনা।
শনিবার সকালে বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। খণ্ডঘোষ থানার কালনা গ্রামের বাসিন্দা নীলকান্ত চট্টরাজের মেয়ে ব্রততীর সঙ্গে বছর খানেক আগে ভাব-ভালোবাসা করে রাহুলের বিয়ে হয়। তাদের একটি দু’মাসের ছেলে আছে। ব্রততীর নার্সিংয়ের চাকরির প্যানেলে নাম এসেছে। স্ত্রীর নার্সিংয়ের চাকরিতে আপত্তি রয়েছে স্বামীর। স্বামী তাঁকে চাকরি করতে দিতে রাজি নন। এনিয়ে ব্রততীর সঙ্গে তাঁর স্বামীর বেশ কিছুদিন ধরে মতবিরোধ চলছিল।
অভিযোগ বিয়ের কিছুদিন পর থেকেই বাবা-মায়ের সঙ্গে ব্রততীর যোগাযোগ বন্ধ করে দেয় রাহুল। প্রায়ই তাঁকে মারধর করা হত বলে অভিযোগ। শুক্রবার দুপুরে বাবাকে ডেকে নিয়ে এসে, বাবার সামনেই স্বামী তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, মারধোর করে বলে অভিযোগ। তাঁর চাকরির কাগজপত্রও ছিঁড়ে দেয় রাহুল। এর প্রতিবাদ করেন ব্রততী। সেজন্য তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। এমনকি শ্বাসরোধ করে খুন করার চেষ্টা করা হয় বলে পুলিসের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন ব্রততী।
চিৎকার-চেঁচামেচি করলে আশপাশের লোকজন জড়ো হয়। ব্রততী তার বাবার সাথে কোনো রকমে শশুড় বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে। রাতেই এই ঘটনার কথা জানিয়ে শক্তিগড় থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
যদিও রাহুলের পরিবার সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। রাহুলের বোন শাবণী মিশ্র জানান, আমার ভাই যখন ব্রততীকে বিয়ে করেছিল তখন জানতো ব্রততী নার্সিংএর চাকরির জন্য চেষ্টা করছে। আমাদের পরিবার সব সময় ব্রততীকে সাপোর্ট করতো। এমনকি ওর ইন্টারভিউর জন্য রাহুল ও মা দুজনে ওকে কলকাতায় নিয়ে গিয়েছিল। তবে সংসারে ছোট খাটো বিষয় নিয়ে গন্ডগোল হতো। ব্রততীর চাকরি কনফার্ম হবার পর ব্রততী চাইছিল রাহুলকে নিয়ে আলাদা বাড়িতে থাকবে। তবে রাহুল তাতে রাজি না হওয়ায় ওকে মিথ্যে অপবাদ দিয়ে ফাসানো হয়েছে বলে দাবী রাহুলের দিদি শ্রাবণীর।
ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচার বিভাগীয় হেফাজতে পাঠিয়ে মঙ্গলবার ধৃতকে ফের আদালতে পেশের নির্দেশ দেন ভারপ্রাপ্ত সিজেএম।