সংবাদাতা, পূর্ব বর্ধমান:- 'বাংলার সব কিছুকেই তৃণমূল নেতারা তাদের পৈতৃক সম্পত্তি ভাবে। রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী কিভাবে এদের বরদাস্ত করেন জানিনা, শুধুমাত্র ভোট ব্যাঙ্কের জন্য হয়ত এদের সহ্য করেন। বাংলার মানুষ এদের ভালভাবে নিচ্ছে না।আজকে প্রিন্সিপালের চেয়ারে বিধায়ক বসে আছেন আর লজ্জার মাথা খেয়ে প্রিন্সিপাল পাশে বসে। ' নদীয়ার শান্তিপুর কলেজের ভাইরাল ভিডিও প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন লকেট চট্টোপাধ্যায়ের।
তিনি আরো বলেন 'তৃণমূলের প্রত্যেকটা নেতা মন্ত্রী কয়লা পাচার, গরু পাচার, স্টোন পাচারের সাথে যুক্ত। সত্যটা বেরিয়ে আসছে, মুখোশ খুলছে। এক বছরের মাথায় মানুষের কাছ থেকে বিশ্বাসযোগ্যতা হারিয়েছে তৃণমূল, এই দলের অর্ধেক নেতা মন্ত্রীরা জেলের মধ্যে থাকবে।'
বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠক করতে এসে এই মন্তব্য করেন হুগলির সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সম্পাদিকা লকেট চট্টোপাধ্যায়। পাশাপাশি বিজেপি সাংসদদের দলত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির ৩০২ জন সাংসদ আছেন। ২০২৪ শে চারশোর কাছাকাছি সাংসদ নিয়ে নরেন্দ্র মোদী ক্ষমতায় আসবেন। কে দল ছেড়ে গেল তাতে কিছু যায় আসে না।পার্টির আদর্শ বিচার নিয়ে পার্টি চলবে। বিজেপির বুথ কর্মীরাই বিজেপির সম্পদ, লোকসভা ভোটে বুথ কর্মীরাই বিজেপিকে জিতিয়েছিল। তারাই আগামীদিনে লড়াই করবেন, কোন নেতা নেতা গেল তাতে কিছু যায় আসেনা বলে মন্তব্য করেন লকেট চট্টোপাধ্যায়। যারা দল ছেড়ে অন্য দলে গিয়েছেন তারা নিজেদের আখের গোছানোর জন্য এসেছিল। এই ধরনের মানুষ যারা এখনো যান নি তারা যত তাড়াতাড়ি যাবেন ততই মঙ্গল ।
দিলীপ ঘোষ প্রসঙ্গে বলেন, এখন বুথ সশক্তি করন অভিযান চলছে ওনাকে আটটি রাজ্যের দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। ওনার কাজের সফলতার জন্যই ওনাকে এই সু্যোগ দেওয়া হয়েছে। কাজ হয়ে গেলে তিনি আবার বাংলাতেই থাকবেন, বাংলার নেতা বাংলাতে থাকবেন বলে জানালেন লকেট। বৃহস্পতিবার পূর্ব বর্ধমানের বিজেপি জেলা কার্যালয়ে সাংগঠনিক বৈঠকে লকেট চট্টোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন জেলার নেতা কর্মীরা।