শুভময় পাত্র, বীরভূম:- অবশেষে বিগত দুবছর পর জনসাধারনের জন্য খোলা হল শান্তিনিকেতনের রবীন্দ্র ভবন। গত দুই বছর ধরে করোনা আবহ কালে রীতিমতো জেরবার হতে বসেছিল সারা বিশ্ব। সাধারণ ও স্বাভাবিক জীবন থেকে বঞ্চিত ছিল সাধারণ মানুষ। নানা টালবাহানা কাটিয়ে অবশেষে কিছুটা হলেও স্বস্তিতে আসতে পেরেছে সারা বিশ্ব। একইভাবে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এর প্রভাব পড়েছে বিভিন্ন দিক থেকে। ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা পরীক্ষা সবকিছুই কেমন উলট পালট হয়ে গেছিল এই দুই বছরে। কিন্তু ছন্দে ফিরতেই নানান বিতর্ক শুরু হয় বিশ্বভারতী ঘিরে।
আস্তে আস্তে যখন সবকিছুই স্বাভাবিক হতে শুরু করেছে ঠিক সেই সময়ই কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ব্যবহৃত নানান সামগ্রী থেকে শুরু করে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বিভিন্ন ঐতিহ্যবাহী ও স্মৃতিবিজড়িত জিনিসপত্রের সংগ্রহশালা সাধারণ মানুষের জন্য এদিন খুলে দিলো বিশ্বভারতী। দৈনন্দিন বিভিন্ন টানাপোড়েন ও বীরভূমের প্রচন্ড তাপদাহকে একরকম উপেক্ষা করেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পর্যটকরা ভিড় করেছে শান্তিনিকেতনে।
তারই মধ্যে এদিন রবীন্দ্র সংগ্রহশালা অর্থাৎ রবীন্দ্র ভবন খুলে দেওয়ায় একরকম বাড়তি পাওনা বলে মনে করছেন এই দিনে ঘুরতে আসা পর্যটকরা। কারণ বিগত দুবছর ধরে বন্ধ রাখা হয়েছিল রবীন্দ্র ভবন সংগ্রহশালা। হঠাৎ করে দিন এই রবীন্দ্র সংগ্রহশালা খুলে দেওয়ায় পর্যটকদের ভির উপচে পড়ে শান্তিনিকেতনে।
রবীন্দ্র ভবনের সামনে লক্ষ্য করা যায় আবার সেই পুরোনো দিনের মত যেমন পর্যটকদের ভিড় ঠিক তেমন ছোট ছোট ব্যবসায়ীরা যারা হাতে দোতারা বাজিয়ে গান শোনানোর পাশাপাশি ছোট ছোট পুতির মালা ও মাটির তৈরী জিনিস নিয়ে হাজির হয়েছিল পর্যটকদের সামনে। পুরনো ছন্দে একইভাবে শান্তিনিকেতন কে ফিরে পাওয়ায় রীতিমতন খুশি শান্তিনিকেতন প্রেমি সাধারণ মানুষ ও আশ্রমিকরা।