সংবাদাতা,পূর্ব বর্ধমান:- বর্ধমান শহরকে যানযট মুক্ত করতে এবং হকার সমস্যাকে নিয়ন্ত্রণে আনতে রাস্তায় নামল জেলা প্রশাসন। জেলাশাসক প্রিয়াঙ্কা সিংলা, পুলিশ সুপার কামনাশীষ সেন, বিধায়ক খোকন দাস, বর্ধমান পৌরসভার চেয়ারম্যান পরেশ সরকার সহ জেলা পুলিশ ও প্রশাসন একাধিক আধিকারিক শনিবার সকালে বর্ধমান শহরের রাস্তায় অভিযানে নামেন। যে সমস্ত ব্যবসায়ী ও হকারেরা রাস্তা দখল করে ব্যবসা করছে তাদের দ্রুত রাস্তা খালি করে দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়। হকারদের নির্দেশ দেওয়া হয় তারা কেবলমাত্র ফুটপাথেই বসবেন, রাস্তায় নয়।
ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে থাকা বেশ কয়েকটি দোকান এদিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে ভেঙে ফেলা হয়। মূলত এদিন শহরের কার্জনগেট চত্ত্বর থেকে শুরু করে, বি সি রোড হয়ে এই অভিযান রাজবাড়ি পর্যন্ত চলে। শহরের অন্যান্য এলাকাগুলিতেও এই অভিযান চলবে বলে প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি শহরে টোটো নিয়ত্রনেও একাধিক পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে শহরে টোটোর সংখ্যা নির্ধারণ করা শুরু হয়েছে বলে জানালেন বর্ধমান দক্ষিণের বিধায়ক খোকন দাস। ইতিমধ্যেই প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে শহরের টোটোগুলিকে নথিভুক্ত করে সারাদিনে দুটি শিফটে চালানো হবে।
প্রশাসনের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বর্ধমান জেলা ব্যবসায়ী সুরক্ষা সমিতি। সমিতির সহ সভাপতি সিয়াংজি ওয়াং জানান, যানজট নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের এই উদ্যোগ প্রশংসনীয়। তবে কোভিড পরিস্থিতিতে বর্ধমানের বাজার অর্থনৈতিক ভাবে খুব দুর্বল হয়ে গেছে। তাই পরিকল্পনা মাফিক শহরের মধ্যে দিয়ে বাস চালানোর দাবি জানান তিনি।
বর্ধমান পুরনো শহর। এখন অনেক এলাকা বাড়লেও রাস্তাগুলি সংকীর্ণ। সেই রাস্তায় যানজট সমস্যা ক্রমশ জটিল হয়েছে হকার ও অনিয়ন্ত্রিত টোটোর কারণে। কয়েকদিন আগে প্রশাসনিক বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, শহরের প্রধান রাস্তাগুলিতে রাস্তা ছেড়েই হকারদের বসতে হবে। রাস্তা দখল করা যাবেনা। যে দোকানদাররা সামনের রাস্তায় দখল করে রেখেছেন তাদের সে জায়গা খালি করে দিতে হবে।
দ্বিতীয়ত, নথিভুক্ত ই-রিকশার বাইরে শহরে কত টোটো আছে তা চিহ্নিতকরণ করা হবে। এরপর এই মোট সংখাকে দুভাগে ভাগ করে দুটি শিফটে চালানো হবে। দুরকম রঙ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।এছাড়াও সকলকে রুট মেনে চলতে হবে।চার বছর আগেও এইরকম সিদ্ধান্ত নিলেও তা কার্যকর করা যায়নি। এখন দেখার আজ থেকে শুরু হওয়া এই বারের সিদ্ধান্ত কতটা কার্যকর হয়।