শুভময় পাত্র, বীরভূম:- বিশ্বভারতী চত্বরে পুলিশ ঢোকানোর প্রতিবাদে উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করল আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। টানা চার দিন ছাত্র আন্দোলনের পর অবশেষে হাইকোর্টের নির্দেশ মত বিশ্বভারতীর কর্মসচিব সহ তিন আধিকারিককে গতকাল রাত্রে মুক্ত করল শান্তিনিকেতন থানার পুলিশ। আর এখানেই ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে শুরু হয়েছে ক্ষোভ। 'কবিগুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনে বিশ্বভারতী চত্বর এর মধ্যে পুলিশ কেন ডাকা হল', স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ দেখায় পড়ুয়ারা৷ উপাচার্যকে ধিক্কার জানিয়ে শান্তিনিকেতন চত্বরে ক্লাব মোড়ের উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করেন ছাত্র-ছাত্রীরা।
গতকাল হাইকোর্ট জেলা পুলিশ প্রশাসনের কাছে একটি নির্দেশ পাঠান, যেখানে হাইকোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দেয়, আন্দোলন করা গণতান্ত্রিক অধিকার, আদালত এই বিষয়ে হস্তক্ষেপ করবে না। পাশাপাশি, হাইকোর্ট নির্দেশ দেয়, কোন আধিকারিককে আটকে রাখা যাবে না। শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে হবে৷ জেলা পুলিশ প্রশাসনকে পুরো বিষয়টি নজর রাখার নির্দেশ দেয় হাইকোর্ট।
কিন্তু বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষের এই ধরনের সীদ্ধান্তে তীব্র নিন্দা জানাই আন্দোলনকারী ছাত্রছাত্রীরা। আজ বিশ্বভারতীর এই সিদ্ধান্তের কারণে উপাচার্যের কুশপুতুল দাহ করার সাথে সাথে পরিষ্কার ভাষায় জানিয়ে দেন যেভাবে তারা এই হোস্টেল খোলা, অনলাইনে পরীক্ষা ও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের পরীক্ষার দিন পিছনো নিয়ে যে তিন দফা দাবিতে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছে তা যতদিন না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে ততদিন আন্দোলন চলতে থাকবে। আর হোস্টেলের ব্যবস্থা না হওয়া পর্যন্ত কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনেই তারা অবস্থান খাওয়া-দাওয়া সবই চলবে যতক্ষণ না বিশ্বভারতী কর্তৃপক্ষ কোন আশানুরূপ পদক্ষেপ নিচ্ছেন।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে বিশ্বভারতীর উপাচার্য কে আবারো পাগল বলে কটাক্ষ করেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।