সংবাদাতা,পূর্ববর্ধমান:- কাজ দেওয়ার নাম করে ৭০ জনকে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে গিয়ে ভারত চিন সীমান্তবর্তী এলাকায় তাঁদের রাখা হয়েছে। কিন্তু সেখানে তাঁদের কোন কাজ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সেখানকার ঠাণ্ডা আবহাওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়ছেন তাঁরা। মাস দেড়েক আগে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের দিগনগর গ্রামের ৭০ জনকে গ্রামের জামাই প্রসেনজিৎ মেটে নামে এক ব্যক্তি আসামে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে যায় বলে অভিযোগ।
এরপর জানা যায়, তাঁদের আসামের পরিবর্তে হিমাচল প্রদেশে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানে ভারত চিন সীমান্তবর্তী একটি এলাকায় নিয়ে গিয়ে রাখা হয়েছে। সেখানে তাঁদের কোন কাজ দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। ঠিকমত খেতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ। এমনকি প্রচণ্ড ঠাণ্ডায় তাঁদের পোশাক না থাকায় তাঁরা কাবু হয়ে গিয়েছেন। সেখান থেকে তাঁদের ফিরিয়ে আনার কথা বলা হলে তাঁদের উপর শারিরীক ও মানসিক ভাবে নির্যাতন করা হচ্ছে বলে অভিযোগ। বিষয়টি স্থানীয় পুলিশকেও জানানো হয়েছে পরিবারের পক্ষ থেকে।
দিগনগর গ্রামের মজুমদার ও মাঝপাড়া থেকে সব মিলিয়ে ৭০ জনকে কাজ দেওয়ার নাম করে নিয়ে গেছে প্রসেনজিৎ মেটে।পনেরো দিন ধরে ফেরানোর কথা বলা হলেও ঠিকাদার সংস্থা বা প্রসেনজিৎ মেটে কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ পরিবারগুলির। উপরন্তু তাঁদের উপর শারিরীক ও মানসিক নির্যাতন করা হচ্ছে বলে জানান মালতি রাম ও সুজিত মেটেরা। তারা এনিয়ে আউশগ্রাম ১ নম্বর বিডিওর কাছেও অভিযোগ করেছেন।
সুজিত মেটে বলেন,একটি মাটির ঘরে কোনরকমে গাদাগাদি করে রাখা হয়েছে। ঠিকমত খেতে দেওয়া হচ্ছে না। ওখানকার আবহাওয়া মাইনাস ৩-৪ ডিগ্রী। মাঝেমধ্যেই বরফ পড়ছে। গরম পোশাক না থাকায় সকলেই ঠাণ্ডায় কাবু হয়ে পড়ছে। কয়েকজন আবার অসুস্থ হয়ে পড়েছে। তাঁরা চিকিৎসাও পাচ্ছেন না। মোবাইল ফোনের টাওয়ার ঠিকমত না থাকায় ফোনে পাওয়া যাচ্ছে না।
মোবাইলে কথা বলতে গেলে ঠিকাদারি সংস্থার লোকজন বাধা দিচ্ছে। মোবাইল কেড়ে নিচ্ছে বলে জানান মালতি রাম। ঠিকাদারি সংস্থার পক্ষ থেকে বার বার ওদের ফেরানোর জন্য টাকার দাবী করা হচ্ছে। ৩০ হাজার টাকা ইতিমধ্যে তারা পাঠিয়েছেন। তবু আবার ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দাবী করছে।
এই বিষয়ে বর্ধমান উত্তর মহকুমাশাসক তীর্থাঙ্কর বিশ্বাস টেলিফোনে বলেন,খোঁজ নিয়ে দেখছি। বিডিওকে তদন্তের জন্য বলা হবে।তাদের ফিরিয়ে আনার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে তিনি জানান।