সোমনাথ মুখার্জি, লাউদোহা :- লকডাউনের টানা প্রায় দু বছর সরকারি বেসরকারি ও বিদ্যালয়গুলো বন্ধ ছিল। ছাত্রছাত্রীদের কাছে পড়া বলতে ছিল অনলাইন ক্লাস। বিদ্যালয়ে গিয়ে পড়াশোনা করার আনন্দ প্রায় মুছতে বসেছে ছাত্রছাত্রীদের মন থেকে। ঠিক এমন সময় সরকার সরকারি বিদ্যালয় ঘড়ি খোলার সিদ্ধান্ত নেয়।
তবে সিদ্ধান্ত মতোই গত ষোল নভেম্বর থেকে শুরু হয় সরকারি বিদ্যালয়গুলি। কিন্তু স্কুল খুললেও স্কুলমুখী ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা নিতান্তই নগণ্য এখনও পর্যন্ত। অনেক অভিভাবক হয়তো এখনো করোনার আতঙ্ক কাটাতে পারেননি।তাই তাঁদের ছেলেমেয়েদের বিদ্যালয়ে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন। কিন্তু স্কুলগুলি কোরো না বিধি মেনেই খোলা হয়েছে, নেওয়া হয়েছে সমস্ত রকম তবে সুরক্ষা ব্যবস্থা।
তবু যেন স্কুলে ছাত্রছাত্রীর সংখ্যা কম। গ্রামাঞ্চলে এক শ্রেণির ছাত্রছাত্রীরা বহুদিন স্কুলমুখী না হওয়ায়,সংসারের কোনো না কোনো কাজে নিযুক্ত হয়েছে। এভাবে চলতে পারে না বিদ্যালয় এ কথা মাথায় রেখেই শনিবার দুর্গাপুর ফরিদপুর ব্লকের গৌরবাজার গ্রামের রামপদ হাইস্কুলের শিক্ষকরা এলাকার পাশের দুটি গ্রাম গুটুুলিয়া ও ভবানন্দপুর গ্রামের ছাত্রছাত্রীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে তাদের স্কুলমুখী করার বার্তা দিলেন।
কথা বললেন ছাত্রছাত্রীদের অভিভাবকদের সাথে। স্কুলের শিক্ষক মৃণাল কান্তি গোপ জানান ,একেবারে গ্রামাঞ্চলে দীর্ঘদিন স্কুল না আসার কারণেই অনেক ছাত্রছাত্রী কোনো না কোনো কাজে নিযুক্ত হয়েছে।তবে তিনি জানান তাঁরা চেষ্টা করছেন অভিভাবকদের সাথে কথা বলে কী ভাবে ওই ছাত্রছাত্রীদের ফের স্কুলমুখী করা যায়।
আরো পড়ুন:- শ্মশান কালী পুজো উপলক্ষ্যে গ্রামবাসীদের উদ্যোগে বিধায়ককে সংবর্ধনা ও গরিব দুস্থদের শীতবস্ত্র বিতরণ
শিক্ষকদের আসা অভিভাবকরা তাদের এই কাজে সর্বতোভাবে সাড়া দিচ্ছেন। সন্তোষ বাউরি নামে এক ছাত্রের অভিভাবক জানান ,শিক্ষকরা যেভাবে বাড়ি বাড়ি এসে ছাত্রছাত্রীদের স্কুলে না যাওয়ার ব্যাপারে খবর নিচ্ছেন তাতে তারা গর্বিত।এবং আগামী দিনে তারা তাদের ছেলেমেয়েদের অবশ্যই স্কুলে পাঠাবেন।