Type Here to Get Search Results !

বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির একটি বড়সড় চক্রের হদিশ পেলো সিআইডি, গ্রেফতার মূল পান্ডা



নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান:- বন্দুকের জাল লাইসেন্স তৈরির একটি বড়সড় চক্রের হদিশ পেয়েছে সিআইডি। জাল লাইসেন্স বেসরকারি সংস্থার নিরাপত্তা রক্ষীদের মোটা অর্থের বিনিময়ে দেওয়া হত। সেই জাল লাইসেন্স ব্যবহার করে নিরাপত্তা রক্ষীরা বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছিল। চক্রের এক কিংপিনকে গ্রেপ্তার করেছে সিআইডি। তার সঙ্গে ৫জন নিরাপত্তা রক্ষীকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। 


ধৃতদের নাম সফিক মোল্লা, জুলফিকার শেখ, সাবির মণ্ডল, ইমানুল মণ্ডল, হাফিজুল শেখ ও বিমান মণ্ডল। পূর্ব বর্ধমানের মেমারি থানার হরিণডাঙায় সফিকের বাড়ি। সে জাল লাইসেন্স তৈরির কিংপিন বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। বৃহস্পতিবার রাতে তাকে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। 


কলকাতার দক্ষিণদাড়ি, জগৎপুর, বণ্ডেল গেট প্রভৃতি জায়গায় হানা দিয়ে বাকিদের গ্রেপ্তার করা হয়। জুলফিকারের বাড়ি পূর্ব বর্ধমানের নাদনঘাট থানার বোচপুরে। মন্তেশ্বর থানার কুলে গ্রামে সাবিরের বাড়ি। ইমানুলের বাড়ি মেমারি থানার হরিণডাঙায়। কেতুগ্রাম থানার আমবোনায় হাফিজুলের বাড়ি। উত্তর ২৪ পরগণার হাড়োয়ার গুবরিয়ায় বিমানের বাড়ি। 


সফিকের কাছ থেকে পূর্ব বর্ধমান ও উত্তর ২৪ পরগণার জেলা শাসকের জাল রাবার স্ট্যাম্প পাওয়া গিয়েছে। এছাড়াও আসানসোল-দুর্গাপুর কমিশনারেটের এবং চন্দননগর কমিশনারেটের এক্সিকিউটিভ ম্যাজিস্ট্রেট এবং মুর্শিদাবাদের জাল রাবার স্ট্যাম্প উদ্ধার হয়েছে। এছাড়াও বিহার ও ঝাড়খণ্ডের সরকারি আধিকারিকদের নকল স্ট্যাম্পও মিলেছে সফিকের কাছ থেকে।


নিরাপত্তারক্ষীদের ৫টি বন্দুক ও তাদের লাইসেন্সগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। রাজ্য জুড়ে চক্রটি বন্দুকের জাল লাইসেন্স সরবরাহ করেছে বলে জেনেছেন গোয়েন্দারা। সফিককে জিজ্ঞাসাবাদ করে আরও কয়েকজন এই চক্রে জড়িত বলে জানা গিয়েছে। শুক্রবার ধৃতদের বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। 


চক্রের বিষয়ে বিশদে জানতে এবং কারবারে জড়িত বাকিদের হদিশ পেতে ধৃতদের ১৪ দিন নিজেদের হেফাজতে নিতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। ৬ জনকে ৮ দিন সিআইডি হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন সিজেএম।


সিআইডি সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েকজন নিরাপত্তারক্ষী জাল বন্দুকের লাইসেন্স ব্যবহার করে বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করছে বলে কিছুদিন আগে খবর মেলে। তার ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিআইডি। তদন্তে ওই ৫ জনের জাল লাইসেন্সের বিষয়ে জানতে পারেন গোয়েন্দারা। এরপরই তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। 

আরো পড়ুন:-ওভার লোড বালির গাড়ি চলাচল বন্ধে এবার কড়া পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করলো পূর্ব বর্ধমান জেলা প্রশাসন

খবর নিয়ে সিআইডি জানতে পারে, তাদের লাইসেন্সগুলি জাল। সরকারি আধিকারিকদের সই নকল করে ও জাল স্ট্যাম্প ব্যবহার করে লাইসেন্সগুলি মোটা অর্থের বিনিময়ে তাদের দেওয়া হয়। নিরাপত্তা রক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করে জাল লাইসেন্স বিলিতে সফিকের নাম উঠে আসে।

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad