নীলেশ দাস, আসানসোল:- বারাবনি বিধানসভার অন্তর্গত গৌরান্ডি ছাতা ডাঙ্গা এলাকায় মঙ্গলবার আক্রন্ত হলো এক বিজেপি কর্মী ও তার পরিবার। গৌরান্ডি ছাতা ডাঙ্গা এলাকার বাসিন্দা তথা বিজেপির যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতি বাপি প্রধান ও তার মায়ের উপর মঙ্গলবার সকালে তৃণমূল আশ্রিত কিছু দুষ্কৃতীরা হামলা চালায় বলে অভিযোগ। আর এঘটনার জেরে আহত হয় ওই বিজেপি নেতা ও তার মা। এদিকে বাপি প্রধানের অভিযোগ তৃণমূলের দুই দুষ্কৃতী আকবর আলম ও তার এক সহ কর্মী মিলে এসে তাকে বাড়ি থেকে টেনে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। আর সেই সময় তার মা তাকে বাঁচাতে এলে তার মায়ের উপরেও হামলা চালায় ওই দুস্কৃতিরা বলে অভিযোগ। শুধু তাই নয় ওই বিজেপি নেতার বাড়ি ঘেরাও করে ওই দুস্কৃতিরা বলে অভিযোগ করেন।
গোটা ঘটনা ইতিমধ্যে বারাবনি থানায় থানায় জানিয়েছে ওই বিজেপি নেতা। আর এদিন আক্রান্ত ওই বিজেপি নেতা অভিযোগ করেন, ভোটের পর থেকে ঘরছাড়া ছিলেন তিনি। মাসে পাঁচ দিন তিনি বাড়ি আসেন তার পরেও তার পরিবারের উপর হামলা করা হচ্ছে। তাকে বলা হয় বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে। এই এলাকায় বিজেপি কেউ করতে পারবে না আর বাড়ি ছেড়ে না গেলে তার উপর আরো হামলা করা হবে।
এই প্রসঙ্গেই এদিন জেলা যুব মোর্চার বিজেপি নেতা অরিজিৎ রায় বলেন, বারাবনিতে বিজেপি কর্মীদের উপর হামলা নতুন কোন ঘটনা নয়। নির্বাচনের পর থেকে রাজ্যের অন্যান্য জায়গার পাশাপাশি বারাবনিতেও বহু বিজেপি কর্মী ঘরছাড়া ছিলেন। কিন্তু হাই কোর্টের নির্দেশে পূনরায় তাদের বাড়ি ফেরানো হয়েছে। আর তার সত্বে আজ আবার পূনরায় তৃণমূল কংগ্রেসের দুই দুষ্কৃতী আমাদের যুব মোর্চার মন্ডল সভাপতির বাড়ি গিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। পাশাপাশি হামলা চালায় তার মায়ের উপরেও। পাশাপাশি তিনি বলেন এই বিষয়ে ইতিমধ্যে পুলিশ কমিশনারকে জানানো হয়েছে। দেখা যাক পুলিশ কি করে, না হলে আবার আন্দোলন শুরু হবে।
আর এই প্রসঙ্গে এদিন বারাবনি বিধায়ক তথা জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি বিধান উপাধ্যায় বলেন, এদিনের ঘটনায় যা ঘটেছে সেটা সঙ্গে কোনো রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক নেই। এটা তাদের নিজেদের ব্যবসায়িক ঝামেলা। আর সেটাকেই বিজেপি রাজনৈতিক রঙ লাগাচ্ছে। বাপি প্রধান বিজেপি করতো এবং এখনো করে সে ঘরছাড়া ছিলো। কিন্তু বর্তমানে সবাই শান্তিতে রয়েছে কোনো রাজনৈতিক ঝামেলা আর নেই এখানে। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে পুরো রাজ্যের মানুষ শান্তিতে রয়েছে।এমনিতেই পুলিশ প্রশাসনকে জানানো হয়েছে তারা যেনো ঘটনার তদন্ত করে দোষীদের শাস্তি দেয়। যদিও ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ ।