নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান:- দলছুট হাতিগুলিকে একত্রিত করে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছে বনকর্মীরা।বৃহস্পতিবার দিনভর হাতির পালের তাণ্ডবের পর রাতে বাঁকুড়ামুখী করে বনকর্মীরা।কিন্তু রাতে গ্রামবাসীদের তাড়া খেয়ে হাতির পাল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।
শুক্রবার ভোরে পূর্ব বর্ধমানের আউশগ্রামের মাঠে ফের হানা দেয় হাতির পালটি। প্রথমে আউশগ্রামের নওয়াদা গ্রামের মাঠে নেমে পড়ে। তারপর তারা গুসকরা ও শিবদা গ্রামে মাঠে ঢোকে।বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও এলাকার প্রচুর পাকা ধানের জমি ক্ষতি হয়।
খবর পেয়ে উপস্থিত হন জেলা বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী, আউশগ্রামের বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার। বনাধিকারিক জানান আপাতত হাতির পালটিকে যাদবগঞ্জের জঙ্গলে আটকে রেখে রাতে আবার বাঁকুড়া জঙ্গলে ফেরানো হবে।
বনকর্মীরা গোটা জঙ্গল ঘিরে রেখেছে। যাতে হাতির পালটি বেড়িয়ে পড়ে ধানের ক্ষতি করতে না পাড়ে।দলছুট হাতি গুলিও সবাই একত্রিত হয়েছে বলে জানান ধনাধিকারিক নিশা গোস্বামী।
বিধায়ক অভেদানন্দ থাণ্ডার বলেন, এলাকার প্রচুর পাকা ধানের জমি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। আমরা তার রিপোর্ট তৈরি করে দ্রুত ক্ষতি পূরণের আবেদন করছি।
বৃহস্পতিবার হাতির পাল বাঁকুড়ার জয়পুর জঙ্গল থেকে দামোদর পার হয়ে প্রথমে ঢোকে গলসিতে।সেখানে কয়েক হাজার বিঘে পাকা ধান নষ্ট হয় হাতির তাণ্ডবে।তারপর হাতির পাল চলে যায় নওয়াদা গ্রামের মাঠে।
সেখানে দিনভর হাতির পালটি ঘোরাঘুরি করে মাঠে। হাজার হাজার পাকা ধান নষ্ট হয়ে যায়। হাতি তাড়াতে গিয়ে বনকর্মী ও পুলিশ কর্মীরা বচসায় জড়িয়ে পড়েন গ্রামবাসীদের সঙ্গে ।গোটা মাঠে কয়েক হাজার লোকের জমায়েত হয় হাতি দেখার জন্য।
সাত টি বাচ্চা সহ মোট ৪৮ টি হাতির পালকে সন্ধ্যার পর হুল্লা পার্টি মশাল জ্বালিয়ে বাঁকুড়া দিকে পাঠানোর চেষ্টা করে। কিন্তু বনাধিকারিক নিশা গোস্বামী বলেন, গ্রামবাসীরা বাধা দেওয়ায় হাতির পালটি বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে।এখানেই সমস্যা তৈরি হয়।
তবে আজ সকাল থেকে আবার দলছুট হাতিগুলিকে একত্রিত করে জঙ্গলে পাঠানোর চেষ্টা করছে বনকর্মীরা।