নিজস্ব প্রতিনিধি,পূর্ব বর্ধমান:- পুরনো স্কুল বিল্ডিং, বিভিন্ন জায়গায় ভেঙে পড়ছে চাঙর,খসে পড়ছে পলেস্তারা। আতঙ্কে বর্ধমানের রাজ কলেজিয়েট স্কুলের (Burdwan Raj Collegiate School) শিক্ষক শিক্ষিকারা।সরকারি নির্দেশিকা মেনে আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে স্কুল খুললেও তাদের স্কুল (School) কিভাবে চালু হবে বুঝে উঠতে পারছেন শিক্ষক শিক্ষিকারা।
প্রশাসনের বিভিন্ন মহলে জানিয়েও কোন ফল হয়নি। তাই বাধ্য হয়ে স্কুল বিল্ডিং বাঁচানোর আর্জি নিয়ে পোস্টার লিখে, হাতে মাইক নিয়ে রাস্তায় নামলেন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকারা।মঙ্গলবার স্কুল গেটের সামনে রীতিমতো মাইকিং করে, পোস্টার নিয়ে স্কুল বাঁচানোর কাতর আর্জি জানালেন তারা।
উল্লেখ্য, ১৮১৭ সালের ৬ জানুয়ারি স্থাপিত হয়েছিল বর্ধমানের রাজ কলেজিয়েট স্কুল (Burdwan Raj Collegiate School)। দীর্ঘদিনের পুরনো বিল্ডিং। একসময়কার স্বনামধন্য স্কুল।সেই স্কুলের বিল্ডিংয়ের এখন ভগ্নপ্রায় অবস্থা। ২০০৫ সালে এই স্কুলের ছাত্র সংখা ছিল ১,৫০০ এর মত।
কিন্তু দিনের পর দিন স্কুল বিল্ডিংয়ের অবস্থা বেহাল হয়ে যাওয়ায় বর্তমানে ছাত্র সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০০ এর মত। কিন্তু কেন এই অবস্থা? স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মিশ্র জানান, দীর্ঘদিনের পুরনো এই স্কুল বিল্ডিং।
মাঝেমধ্যেই বিভিন্ন জায়গায় স্কুল বিল্ডিংয়ের চাঙর ভেঙে পরে। ছাত্ররা (Student) আতঙ্কে থাকে। অভিভাবকেরা এখানে ছাত্র ভর্তি করতে দ্বিধাবোধ করেন। আবার যারা ভর্তি হয় তাদের অনেকেই এই স্কুল ছেড়ে অন্য স্কুলে চলে যাচ্ছে। এটা শিক্ষক শিক্ষিকাদের কাছে অত্যন্ত বেদনাদায়ক ও কষ্টের।
সরকারি নির্দেশিকা অনুযায়ী আগামী ১৬ নভেম্বর থেকে তাদের স্কুল খুলতে হবে। নবম শ্রেণী থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত ক্লাস শুরু হবার কথা সেদিন থেকেই। কিন্তু ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে চিন্তিত তাঁরা।
মাঝে মধ্যেই চাঙর খসে পরায় তাদের ছেলেদের স্কুলে পাঠাতে ভয় পাচ্ছেন অভিভাবকরা। এই অবস্থায় পঠন পাঠন কি আদৌ শুরু করা সম্ভব হবে? এই প্রশ্নই ঘুরপাক খাচ্ছে শিক্ষক শিক্ষিকা থেকে অভিভাবক সকলের মধ্যে।
স্কুলের প্রাক্তন ছাত্র থেকে বর্ধমান (Bardhaman) রাজপরিবারের আত্মীয় সকলেই চাইছেন সরকার এগিয়ে এসে ঐতিহাসিক এই স্কুলকে রক্ষা করুক। যাতে রাজ কলেজিয়েট স্কুলের গরিমা আবার ফিরে আসে।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুব্রত মিশ্রর দাবি, দু'বছর ধরে সমস্যার কথা প্রশাসনিক মহলে বার বার জানিয়েও ফল হয়নি। জেলাশাসক থেকে স্কুল শিক্ষা দপ্তর সব জায়গাতেই সমস্যার কথা জানানো হয়েছে। শুধুই আশ্বাস মিলেছে, কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই তারা বাধ্য হয়েই এই স্কুলকে বাঁচাতে রাস্তায় নেমেছেন।