নীলেশ দাস ,আসানসোল:-আসানসোল উত্তর থানার অন্তর্গত নুনি উপর বাউরি পাড়ায় শনিবার মধ্য রাতে খুন হয় দুই ব্যাক্তির।স্থানীয় সূত্রে জানা যায় যে গতকাল প্রায় সাড়ে এগারোটা নাগাদ নুনির উপর বাউরি পাড়ার বাসিন্দা বুধন বাউরি ও তার খুড়তুতো ভাই অশোক বাউরিকে তারই জামাই হারু বাউরি খুন করে বলে অভিযোগ।খুন করার কারণটা কি এখন সঠিক জানা যায়নি।ঘটনা স্থলে উত্তর থানার পুলিশ এসে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য জেলা হাসপাতালে পাঠায়।এবং হারু বাউরিকে আটক করে বলে জানা যায়।
তবে পরিবারের দাবি হিংসার জেরে এই খুন।জানা যায় যে হারু বাউরির নিজস্ব বাড়ি বাঁকুড়া জেলার বড় জোড় গ্রামে কিন্তু তিনি ঘর জামাই থাকতেন নুনি গ্রামের উপর বাউরি পাড়ায় । প্রায় দিনই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজের স্ত্রী এবং শ্যালকদের সাতে ঝগড়া করতেন।আর তারই জেরে এই খুন বলে মনে করছেন পরিবারের সকল সদস্য।
আরো পড়ুন:- মেমারির দিঘীরপাড় এলাকার একটি পুকুর থেকে এক ব্যক্তির দেহ উদ্ধার করলো মেমারি থানার পুলিশ
এই প্রসঙ্গে মৃত বুধন এবং অশোক বাউরির ভাই মিঠুন বাউরি জানান গতকাল রাত সাড়ে এগারোটা নাদাগ গ্রামে একটি চাপা কলের সামনে তাদের মধ্যে মারামারি হয়।তবে কলের সামনে জমে থাকা কাদায় অশোক ও বুধন কে চুবিয়ে মেরে ফেলে বাড়ির জামাই হারু বাউরি।প্রায় দিন মদ খেয়ে হারু বাউরি বাড়িতে ঝামেলা করতেন বলে তিনি জানান।গতকাল অশোক ও বুধন দুই ভাই এক সঙ্গে মদ খেতে গিয়েছিলেন এবং হারু ও মদ খেতে গিয়েছিলেন আর ওই খানে তাদের মধ্যে বচসা ঝামেলা শুরু হয়।আর হারু বাউরি অশোক বাউরি এবং বুধন বাউরিকে জলে ডুবিয়ে মেরে ফেলে।
এইদিকে হারু বাউরির স্ত্রী বলেন যে মাঝে মধ্যেই তার স্বামী তার ভাইদের সাথে ঝগড়া করতো ও বলতো তোর ভাইদের একদিন বুঝাবো আমি ।আমি জানতাম না সে এমনি কিছু করবে,গতকাল রাতে সে যে আমার ভাইদের খুন করবে বুঝতে পারিনি।সে কাল মদ খেয়ে রাতে এসে চুপচাপ মাটিতে শুয়ে পড়ে।আমার একটাই দাবি আমার স্বামীর ফাঁসি চাই।
অন্যদিকে এসিপি সেন্ট্রাল মানবেন্দ্র দাস জানান,গতকাল মধ্য রাত্রে নিজেদের আত্মীয় শ্যালক জামাইবাবু মদপ্যাপানের পর একটা ঘটনা ঘটে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করে। অভিযুক্তকে আটক করা হয়েছে। তবে পুলিশী হেফাজতে রয়েছে। পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে বলে জানান তিনি।