নীলেশ দাস, আসানসোল:- লক্ষী ভান্ডারের টাকা প্রথমবার পেয়েই প্রথমবার লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন মহিলাদের। ওরা কেউ দিনমজুরের কাজ করেন।কেউবা সেলাই দিদিমণি। কেউ আবার করেন খাবারের হোম ডেলিভারি। পাশাপাশি স্বনির্ভর গোষ্ঠীর কাজের সঙ্গে তারা থাকেন ব্যস্ত। স্বামীরা সব দিনমজুর। পাকা বাড়ি কারোরই নেই। পাড়ার মহিলারা একত্রিত হয়ে আয়োজন করলেন লক্ষী পুজোর।
লক্ষী ভান্ডারের টাকা ব্যাংকের একাউন্টে ওরা পেয়েছেন প্রথমবার। তাই প্রথমবার লক্ষ্মীপুজো করলেন একত্রিত হয়ে। বাসন্তী, মালা, ঋনা, সুষমা তাঁদের আর্থিক স্বাচ্ছন্দ নেই।তবে লক্ষী ভান্ডারের টাকায় কিছুটা হলেও মুখে হাসি ফুটেছে ওদের। মা লক্ষ্মী নামাঙ্কিত যখন সরকারি প্রকল্প বা পরিষেবা, তাই ছোট করে হলেও কোজাগরী লক্ষ্মী পুজোর আয়োজন করলেন কুলটির মিঠানির মা সারদা স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলারা।
আরো পড়ুন:- দুর্গাপুরের বেনাচিতি বাজারে একটি বস্ত্রের দোকানে লক্ষাধিক টাকার জামা কাপড় চুরির ঘটনায় চাঞ্চল্য
গ্রামের মুচিকুলিতে দেখা গেল মাটির বাড়ির দাওয়াতই লক্ষ্মী প্রতিমা আনা হয়েছে। আম-পল্লব টাঙানো হচ্ছে। পুজোর আয়োজন হয়ে গেছে প্রায় । বুধবার হবে পুজো। তার আগে থেকে মহিলাদের উৎসাহ চোখে পড়ার মতো। তাদের মনে খুশি। কারণ একাউন্টে হাজার টাকা করে অন্তত দু দুবার, দু হাজার টাকা টাকা পেয়েছেন তারা। সেই টাকা পেয়েই তারা সামান্য টাকা অনুদান দিয়ে পুজোর আয়োজন করেছেন। তাদের কামনা, এই লক্ষী ভান্ডার অটুট থাকুক। রাজ্যের লক্ষ্মী লাভ হোক। তাই মা লক্ষ্মী পূজা করেই লক্ষী ভান্ডারের শ্রীবৃদ্ধি কামনা ওই আর্থিক পিছিয়ে পড়া ওই মহিলাদের।