শুভময় পাত্র,বীরভূম:- 'বিশ্বভারতীতে ছেলে মেয়েরা নাকি ব্যাপক নেশা করছে। 'মঙ্গলবার সকালে এমনই অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বেঁচে থাকলে হয়তো সুইসাইড করে নিত। পাশাপাশি নিজের একমাত্র মেয়েকে বিশ্বভারতীতে ভর্তি করতে না পারায় তার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ। যদিও এই দুঃখ ঘুচিয়ে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বীরভুমের বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি প্রফেসর অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠানে এসে এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
বীরভুমের বোলপুর গীতাঞ্জলি প্রেক্ষাগৃহে ওয়েস্ট বেঙ্গল কলেজ ও ইউনিভার্সিটি প্রফেসর অ্যাসোসিয়েশনের একটি অনুষ্ঠান ছিল। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বোলপুরের বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প দপ্তর এর মন্ত্রী চন্দ্রনাথ সিংহ। উপস্থিত ছিলেন নবনির্মিত বোলপুরের বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক স্বপন দত্ত। এছাড়াও এদিনের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল।
ভরা প্রেক্ষাগৃহে বক্তব্য রাখতে গিয়ে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, 'আজ সকালে আমার কাছে দুটি অভিযোগ এসেছে। বিশ্বভারতীতে নাকি ছেলেমেয়েরা ব্যাপক নেশা করছে। ছেলেদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মেয়েরাও নাকি সেই নেশায় সামিল হয়েছে। সত্যি কথা বলতে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর যদি আজ বেঁচে থাকতেন তাহলে উনি সুইসাইড করতেন।'
পাশাপাশি অনুব্রত এও জানান, 'আমার জীবনের সবচেয়ে বড় দুঃখ আমার একমাত্র কন্যা কে বিশ্বভারতী তে ভর্তি করতে পারিনি। তখন তৃণমূল সরকার এ আসেনি। যেকোনো কারনেই হয়তো আমি ভর্তি করতে পারিনি। তাই দিদির সাথে অর্থাৎ মুখ্যমন্ত্রীর সাথে একবার কথা বলতে গিয়ে আমি বলেছিলাম। মুখ্যমন্ত্রী বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে বোলপুরে বিশ্ববাংলা বিশ্ববিদ্যালয় করে দিয়েছে। খুব সহজভাবেই আমার যে দুঃখ ছিল তা ঘুছিয়ে দিয়েছেন দিদি বোলপুরে বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করে।' এদিন অনুব্রত মণ্ডল আরো বলেন রামপুরহাট একটি মেডিকেল কলেজ হয়েছে। যদিও দিদি আমার সাথে পরামর্শ করেই করেছে। তাই বোলপুর ব্রাত্য হবে কেন ? বোলপুরে শান্তিনিকেতন মেডিকেল কলেজ গড়ে উঠেছে।
বীরভূম জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি শিক্ষক শিক্ষিকাদের প্রতি অনুরোধ করেন, আপনাদের হাতেই শিক্ষার চাবিকাঠি। বিশেষ করে যারা কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলের পড়াশোনা করানো। শেষ শিক্ষার চাবিকাঠিটা আপনাদের হাতে। তাই আপনার যেভাবে শিক্ষা দেবেন সেভাবে ছেলেমেয়েরা মানুষ হবে।