সোমনাথ মুখার্জী,অন্ডাল :- আজ আন্তর্জাতিক আদিবাসী দিবস। প্রতি বছর ৯ই আগস্ট পালন করা হয় এই দিবস। আদিবাসীদের অধিকার, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সুরক্ষা প্রদানের স্বার্থে দিবসটি পালন করার জন্য উদ্যোগ নেয় জাতি সঙ্ঘ। বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো আজ ভারতেও পালিত হয় দিবসটি। আজকের এই দিনটি জাগজামক করে পালন করলে পশ্চিম বর্ধমান আদিবাসী গাঁওতা । অনুষ্ঠানটি হলো অন্ডাল ব্লকের শংকরপুর ফুটবল ময়দানে । এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অথিতি হিসাবে ছিলেন পশ্চিম বঙ্গের আদিবাসী গাঁওতার সম্পাদক রবিন সোরেন,দিলীপ সোরেন পশ্চিম বর্ধমান আদিবাসী গাঁতার সভাপতি,এছাড়া আরো অনেক বিশেষ অথিতি বর্গ।
১৯৯৪ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই দিনটি পালন করে আসছে বিশ্বের প্রায় ৩০ কোটি আদিবাসী। ১৯৯২ সালে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের উন্নয়ন ও সংরক্ষণ উপকমিশনের কর্মকর্তারা তাদের প্রথম সভায় আদিবাসী দিবস পালনের জন্য ৯ই আগস্টকে বেছে নেয়। আদিবাসী জনগণের মানবাধিকার,পরিবেশ উন্নয়ন, শিক্ষা ও সংস্কৃতিসম্পর্কিত বিভিন্ন সমস্যা নিরসনের লক্ষ্যে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সুদৃঢ় করা ও গণসচেতনতা সৃষ্টি করাই বিশ্ব আদিবাসী দশক, বর্ষ ও দিবস পালনের মূল উদ্দেশ্য।
জাতিসঙ্ঘের তথ্য অনুসারে, বিশ্বের ৭০টি দেশে ৩০ কোটি আদিবাসী বাস করে, যাদের অধিকাংশই অধিকার বঞ্চিত। অনেক দেশে আদিবাসীরা স্বীকৃতিই পায়নি। কোনও দেশে উপজাতি, কোনো ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠী বলে অভিহিত করা হয় তাদের। ১৯৯৩ সালকে জাতিসঙ্ঘ প্রথমবার `আদিবাসী বর্ষ` ঘোষণা করে। পরের বছর ১৯৯৪ সালে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে প্রতিবছর ৯ই আগস্টকে `বিশ্ব আদিবাসী দিবস` হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এ ছাড়া জাতিসংঘ ১৯৯৫-২০০৪ এবং ২০০৫-২০১৪ সালকে যথাক্রমে প্রথম ও দ্বিতীয় আদিবাসী দশক ঘোষণা করে।
আরো পড়ুন :-
ভারতে রয়েছে বেশ কিছু ক্ষুদ্র-নৃগোষ্ঠী। পাহাড়, সমতল ও জঙ্গল মিলিয়ে এরা বসবাস করছে। প্রান্তিক অঞ্চলে বসবাস করা সহ নানান কারণে এসব জনগোষ্ঠী এখনো বিভিন্ন মৌলিক অধিকার থেকে বঞ্চিত। এর মধ্যে মাতৃভাষায় লেখাপড়ার সুযোগও নেই অধিকাংশের। এছাড়া ভূমিগত বিরোধও রয়েছে। দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিপুল সংখ্যক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলস্রোতধারার বাইরে রেখে কাঙ্খিত উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই সব নৃ-গোষ্ঠীর সাংবিধানিক অধিকার নিশ্চিত করাই হোক আজকের আদিবাসী দিবসের অঙ্গীকার এমনটাই জানান পশ্চিম বর্ধমান আদিবাসী গাঁওতার তরফে ডাক্তার সুবোধ হাসদা (ASECA) সাধারণ সম্পাদক ।