নিজস্ব প্রতিনিধি :- পূর্ব বর্ধমানের বৈকুন্ঠপুর ২ নং গ্রাম পঞ্চায়েতের অচলাবস্থার কোনোও সমাধান আজও হল না। গতকালই প্রধান শর্মিলা মালিক অভিযোগ করেছিলেন, মোজাম্মেল শাহ নামের এক তৃণমূল কর্মী তাকে পঞ্চায়েতে ঢুকে হুমকি দেন। আজ আবার প্রধানের বিরোধী গোষ্ঠীর লোকেরা পঞ্চায়েত অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে রীতিমতো প্রধানকে সরিয়ে দেবার দাবিতে বিক্ষোভ দেখান। 'অপদার্থ ', স্বৈরাচারী ' প্রধানকে মানবেন না বলে স্লোগান দেন তারা ।এ নিয়ে চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়।এমনিতেই শাসকদলের দু গোষ্ঠীর কাদা ছোড়া ছুড়িতে তিতিবিরক্ত গ্রাম পঞ্চায়েতের বাসিন্দারা।আজকের বিক্ষোভে মোজাম্মেল শাহ ও ছিলেন।
পঞ্চায়েতের উপপ্রধান গোপাল বিশ্বাস জানান,এই পঞ্চায়েতের প্রধান নিজের মর্জিমত কাজ করেন। কাউকে পাত্তা দেন না। তারা ভোটের আগে বারোজনের মধ্যে আটজন অনাস্থা আনেন। আবার নতুন করে অনাস্থা এনেছেন।কোভিডের জন্য সভা হয়নি।গতকাল হাটশিমূল এলাকার বাসিন্দারা তাদের দীর্ঘদিনের দুটি দাবি রাস্তা ও শ্মশানের ব্যাপারে কথা বলতে এসেছিলেন। প্রধান তাদের অপমান করেন।কোনোও কথা না শুনে বের করে দিতে বলেন। উলটে চেয়ার উলটে দেন।
প্রসঙ্গত গতকাল প্রধান শর্মিলা মালিক অভিযোগ করেছিলেন, মোজাম্মেল শাহ ও দুই তৃণমূল কর্মী এসে তাকে শাসান ও গালিগালাজ করেন।পঞ্চায়েত থেকে বের করে দেবার হুমকি দেন।পঞ্চায়েত কর্মীরা মোজাম্মেলকে বার করে দেন।এই ঘটনার জেরে নিরাপত্তার অভাবের কথা জানিয়ে বর্ধমান থানায় অভিযোগ দায়ের করেন প্রধান।আজ তার বিরোধীরাই তার পদত্যাগ চেয়ে রাস্তায় নামলেন।
আজ আর এক পঞ্চায়েত সদস্য পম্পা দে জানান, প্রধানের ব্যবহার খুবই খারাপ। তারা দুবার অনাস্থা এনেছেন।তাদের পাল্লাই ভারি।তবু কোনো সুরাহা হয়নি।গোপাল বিশ্বাস আরো দাবি করেছেন,জেলা সভাপতি স্বপন দেবনাথের কথামত দলের এবং ভোটের কথা ভেবে আগেরবার পিছিয়ে এসেছিলেন।তারপরও কোনো সুরাহা হয়নি।
আরো পড়ুন :-প্রধান বনাম উপপ্রধান দুই গোষ্ঠীতে দুজন। বেশিরভাগ সদস্যই প্রধানের বিরোধী। রোজ নিত্যনতুন ঝামেলা লেগেই আছে। আর থমকে যাচ্ছে উন্নয়ন। এটাই বৈকুন্ঠপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের দৈনন্দিন চিত্র হয়ে দাড়িয়েছে।